এনবি নিউজ একাত্তর – এই সেই সহিদুল(৩২) পিতা মমতাজ মন্ডল সাং হরিনাথপুর বিষপুকুর থানা গোবিন্দগঞ্জ নিজেকে কখনো সেনাসদস্য, কখনো বিজিবি, আবার কখনো পুলিশ পরিচয় দিয়ে নিরীহ পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করে পরিবারের নিকট হতে কখনো যৌতুকের টাকা, কখনো স্বর্নালংকার হাতিয়ে নিয়ে আত্নগোপন চলে যায়। এই শহিদুল গত ২০১৭ সালে নিজকে অপর এক সেনাসদস্যের পরিচয় দিয়ে জয়পুরহাট জেলার কালাই থানা এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে প্রায় ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে, এরপর পর্যায়ক্রমে দিনাজপুর ও সাদুল্লাপুরেও নিজেকে কখনো পুলিশ কিংবা সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে টাকা নিয়ে আত্নগোপন করে।
সর্বশেষ গত জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ এ সে নিজেকে পুলিশ সদস্য রুবেল হিসাবে পরিচয় দিয়ে তার সহযোগী ঘটক আঃ রহিম @ সাহিন পিতা জালাল উদ্দীন প্রধান সাং হরিনাথপুর বিষপুকুরের মাধ্যমে এবং নিজের বৌ শিরীন কে ভাবি পরিচয় দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার বামনহাজড়ার জনৈক মেয়েকে বিয়ে করে এবং বিয়ের পরের দিনই কর্মস্হলে যোগদানের কথা বলে ৩ লাখ টাকা নিয়ে ভাবি পরিচয়দানকারী বৌ সহ আত্নগোপনে চলে যায়। এরপর তার দেয়া ফোন নম্বরে দীর্ঘদিন কোন যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে মেয়ের পরিবার গোপন সুত্রে আসামি শহিদুলের নতুন নম্বর সংগ্রহ করে। এবং অপর আর এক মেয়েকে দিয়ে প্রেমিক সেজে বেশ কিছুদিন প্রেম করার পর ৫ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্নালংকার যৌতুক দেয়ার কথা বলে সহিদুল কে বিয়েতে রাজি করে।এর প্রেক্ষিতে আজ ২৫ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ সকাল অনুঃ ৮ টার সময় আসামি সহিদুল তার বৌ শিরীন ও সেই ঘটক সাহিন সহ বিয়ে করার জন্য মায়ামনি মোড়ে আসলে পরিবারের সহযোগিতা গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই মামুন আসামি সহিদুল কে তার বৌ শিরীন সহ গ্রেফতার করে। সহযোগী ওপর আসামি সাহিন পালিয়ে যায়।
আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এদের সকলের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।