ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ১১০ বছর বয়সেও বয়স্ক ভাতা জোটেনি তফিল উদ্দিনের ভাগ্যে।
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তার নাম তফিল উদ্দিন, পিতাঃ মৃত উমেদ আলী , জন্ম তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ১৯১১ইং। সে মতে বর্তমানে তার বয়স ১১০ বছর। কিন্ত এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবী পরিচয় পত্রে জন্ম সাল ভূল রয়েছে । তার প্রকৃত বয়স ১৩০ বছর।
আর কত বয়স হলে সরকারি সুবিধা পাবেন আমার বাবা। বয়স তো কম হয়নি। এখন এক চলা ফেরা করতে পারেন না। অথচ একটা বয়স্ক ভাতা কার্ড বা সরকারি কোনো সুবিধা আজও পাইনি আমরা। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। দেখবো, শুধু এটুকু বলেই কাজ শেষ করেছেন তারা । এভাবেই ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের কানিপাড়া গনাইরকুটি (চৌধুরী বাজার) গ্রামের তফিল উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসেম। তিনি বলেন আমরা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন। সকলেরই আলাদা সংসার। বাবা আমার সংসারেই আছেন। তিনি এখন বয়সের ভারে নূয়ে পড়েছেন। বার্ধ্ক্য জনিত নানা রোগে আক্রান্ত। আমার তিনটি সন্তান। জায়গা জমি বলতে বাড়ী ভিটে ছাড়া আবাদি কোন জমি নাই। বাজারে একটি দোকান রয়েছে । এই দোকান করে সন্তানদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে বাবার চিকিৎসার খরচ বহন করা আমার পক্ষে খুবিই কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। সরকারি কোন সহযোগিতা পেলে হয়তো বাবার চিকিৎসা চালানো সহজ হতো।
সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। নতুন তালিকায় তার নাম পাঠিয়েছি। আশা করি খুব দ্রূত তিনি ভাতা পাবেন।
জানতে চাইলে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ভূরুঙ্গামারীতে এত প্রবীন একজন ব্যক্তি আছেন আমার সেটা জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।