ঢাকাWednesday , 17 August 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নামে কোন জমি না থাকায় কমলমতি শিশুদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পরেছে

Link Copied!

এনবি নিউজ একাত্তরঃ

প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নামে কোন জমি না থাকায় কমলমতি শিশুদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। আবার ঐ স্কুলের সরকারী অর্থায়নে নতুন করে জমি ক্রয়ের পায়তারা চলছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১৩নং কামারদহ ইউনিয়নের মোগমটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে মাত্র তিন শতক জমি দিয়ে অবশিষ্ট ২৭ শতক জমি ১নং খাস খতিয়ানের সরকারী গজারিয়া খালের জমি জাল দলিল ও খারিজ দেখিয়ে সরকারী করন করা হয়েছে গত ২০১৩ সালে। স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের কোন ক্লাশরুম নেই ও কোন জমিও নেই বর্তমানে মোগমটুলি বালিকা বিদ্যালয়ের রুম ব্যবহার করছে স্কুলটি। একটি ছোট বিল্ডিং ছিল তা জমি অধিগ্রহনে রাস্তার ভিতর চলে গেছে। জমি না থাকায় অস্থায়ী ঘড় নির্মানের বরাদ্ধের তিন লক্ষ টাকা কাজে আসছে না জানান প্রধান শিক্ষক সুইট। জমির বিষয়ে জানতে সরকারী করন সময়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিপি বেগম জানান, আমি জমির বিষয়ে কিছু জানিনা আরো বলেন সরকারী করনের পূর্বে এটিও,টিও স্যারেরা সব কাগজপত্র দেখে তাহলে কিভাবে অনুমোদন দিয়েছে। স্কুলে নামে জমি না থাকা সর্তেও কিভাবে তারা সরকারী করনের জন্য সুপারিশ করেছে আপনারা তাদেরকে বলেন। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করনের জন্য প্রয়োজন এক বিঘা বা ৩৩ শতক জমি। মোগমটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন জমি না থাকলেও কিভাবে সরকারী করন হল তা এখন প্রশ্ন সচেতন মহলের। ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী বলছেন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা কালে জমিদাতা হিসাবে যারা চাকুরী পেয়েছেন ঐ সকল শিক্ষক স্কুলের সাথে এবং সরকারের সাথে প্রতারণা করে চাকুরী নিয়েছে এবং তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছেন। এ বিষয়ে বর্তমান সময়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুল হাসিম বলেন আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর গত দুই বছর পূর্বে বিদ্যালয়ের জমি সাসেক-২ অধিগ্রহণ করে সে কারনে বিদ্যালয়ের জমির পরিমান জানতে পারি বর্তমানে মোগমটুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো জমি নাই। আমরা মোগমটুলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিং ব্যবহার করছি। স্কুলের নামে তিন শতক জমি ছিল তা অধিগ্রহণ করেছে সরকার এবং আরো ২৭ শতক জমি থাকার কথা কিন্তু সেগুলো সরকারী খাস খতিয়ানের এবং সেগুলো সরকারী গজারিয়া নদীর ভিতর। খাস খতিয়ানের জমি স্কুলের নামে আসলো কি ভাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন সে সময় যারা স্কুলের কাগজপত্র পাঠিয়েছে তারা বলতে পারবে। স্কুলের নামে সরকারী খাস খতিয়ানের জমি জাল দলিল করে স্কুলের নামে দেখীয়ে সরকারী করন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ঐ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ করার মতো কোন জয়গা নাই শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার মান নেই বললেই চলে এমন প্রশ্নে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী বলেন আমি ডিপিও স্যারের নিকট স্কুল সমন্ধে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। স্যারের আদেশ মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী বলেন জমির বিষয়ে কোন অনিয়ম করলে ঢাকা অফিস ব্যবস্থা নেবে এখানে আমার কিছু করার নাই।
উক্ত বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রসাসক অলিউল রহমান বলেন যারা এ অনিয়মের সাথে জরিত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।