ঢাকাWednesday , 6 March 2024
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দূর্নীতিগ্রস্থ ভূমি অফিসগুলি জমির খাজনা নিচ্ছে না সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

Link Copied!

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দূর্নীতিগ্রস্থ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদাররা জমির খাজনা নিচ্ছে না। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দিনাজপুর জেলায় মূলত হিন্দু জমিদার ও জোতদারদের আবাস ছিল। জেলার ৮০ ভাগ সম্পত্তি হিন্দু জমিদার ও জোতদারদের ছিল। ১৯৪৭ সালে জমিদাররা সবকিছু ফেলে রেখে ভারতে চলে যান। দিনাজপুরের জমিদার মহারাজা গিরিজানাথ, যোগেন্দ্র চন্দ্র চক্রবর্তী, জমিদার রুক্কিনী কান্ত যার জমিদারী ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জের মধ্যে বিস্তৃত ছিল। তাদের ফেলে যাওয়া খাস জমির কিছু অংশ সরকার ব্যবহার করছে। বাকী জমি ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করার কথা, কিন্তু ভূমি অফিসের সহায়তায় বেশির ভাগ খাস জমি বিত্তবানরা ভোগ দখল করছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলায় খাস জমি রয়েছে ৮১৫.২৮ একর, ভিপি (অর্পিত) সম্পত্তি রয়েছে ৫৭০.৮৬ একর। বিরামপুর উপজেলায় খাস জমি ৪৬৫.১৯ একর ভিপি জমি ৮২৬.৫৪ একর। সেই অনুপাতে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় খাস ও ভিপি জমি রয়েছে ১৫ হাজার একরের উর্দ্ধে ।
১৯৭৫ সালে হিন্দু জোতদাররা লিয়াকত-নেহেরু চুক্তির আলোকে বিনিময় করে ভারতে চলে যান আর ভারত থেকে মুসলমান জোতদাররা তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানে আসেন এবং সমুদয় সম্পত্তি ভোগ দখল করেন। অনেকে বিভিন্ন জটিলতার কারণে বিনিময় দলিলগুলি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেননি। এই জটিলতার কারণে তহসিলদাররা জমির খাজনা নেয়নি। বিনিময় সম্পত্তিগুলি ভিপি জমিতে পরিণত করে। (খড়ংি ড়ভ ঊীপযধহমব চৎড়ঢ়বৎঃরবং ধঃ ৪.৫.১৯৭০) আইন বলা আছে বিনিময় সম্পত্তি ভিপি বা খাস জমিতে পরিণত করা যাবে না। বিনিময় সম্পত্তি লিজ প্রদান করা যাবে না এবং কোন প্রকার অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকার জমির বিভিন্ন জটিলতার নিরসন কল্পে ‘খ’ তফশিল এবং দখলি স্বত্ত্ব, আইন বাতিল ঘোষণা করেছেন। জমির মূল দলিল দেখে সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা রয়েছে।
তহসিলদাররা এই সব আইনগুলিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জমি লিজ প্রদান ব্যবসা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ১ বিঘা জমি লিজ নিতে ২০ হাজার টাকা লাগে। ১ হাজার টাকা সরকারের ঘরে যাচ্ছে বাকী ১৯ হাজার পকেটে চলে যাচ্ছে। তথ্য মতে একজন তহসিলদার ৫ বছরে কোটিপতি বনে যাচ্ছে। তহসিলদাররা চান না বিনিময় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রেশন হোক। তারা বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করে বিনিময় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রেশনে বাধা সৃষ্টি করছে। তহসিলদাররা টাকার বিনিময়ে একজনের জমি আরেকজনের নামে লিখে দিচ্ছে। তহসিলদরারা ভারত থেকে বিনিময় করে আসা মুসলমানদের ২নং সংখ্যালঘু (হিন্দুতে) পরিণত করেছে ।
মুক্তিযুদ্ধ সরকারের ভূমি মন্ত্রীসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে, দ্রুত দূর্নীতিগ্রস্থ ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসের লাগাম টেনে ধরতে হবে। বিনিময়কারী মুসলমানদের জমির দলিল দেখে ভিপি (অর্পিত) সমস্যা নিরসন করে খাজনা গ্রহণের ব্যবস্থা করলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে।

 

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।