ঢাকাThursday , 5 January 2023
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঠান্ডা দাপটে থেমে নেই আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় উলিপুরের কৃষকেরা

Link Copied!

রুহুল আমিন রুকু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলু চাষিরা আলুর ক্ষেত পরিচর্যায়
ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। উপজেলায় শীতের প্রভাব বেশি থাকলেও আলু চাষে এর কোন প্রভাব পড়েনি। তীব্র শীতের মধ্যেও আলুর বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একরময় একর জমিতে আলু চাষ করেছে আলু চাষিরা। আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে সকল এলাকা গুলোতে। আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলায় পৌরসভা সহ আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৭’শ ২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৮’শ ৯০ হেক্টর। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ায় আলু চাষিরা অধিক লাভের আশা করছেন। তারা বলেন মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে এ আলুর ফলন হয়ে থাকে। আলুর বাজার দর ভালো থাকলে অনেক লাভবান হতে পারব বলে জানান তারা।
উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের আব্দুল গনি বলেন, আমি প্রায় ১’শ ৬০ শতক জমিতে স্টিক জাতের আলু লাগিয়েছি। এখন আলু চাষ করার ৩০ দিন হয়েছে। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। আর মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে আলু বাজার জাত করা হবে। বাজার দর ভালো থাকলে অনেক লাভবান হতে পারব। তিনি আরও বলেন ১’শ ৬০ শতক জমিতে আলু চাষে মোট খরচ হবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা যার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। আলু উঠানো পর্যন্ত বাকি ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। উক্ত জমিতে আলু পাবার আশা করছেন প্রায় ২৪ হাজার ৫’শ কেজি। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। আশা করি উক্ত জমিতে লাভ হবে প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বলে জানান তিনি।
উপজেলার ঘাটিয়াল পাড়া গ্রামের আলুর ক্ষেত পরিচর্যার কাজে আসা শ্রমিক আবুল হোসেন, মকবুল হোসেন, মজিবর রহমান ও হোসেন আলী বলেন, এবারে আলুর ফলন অন্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। আলু চাষে অনেক আগ্রহ বেড়েছে আলু চাষিদের। আমরা প্রতিদিন আলু নিড়ানির কাজ করে পারিশ্রমিক পাই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের আলু চাষি মফিল, হোসেন আলী, কাশেম ভাটিয়া বলেন, এবারে শীতের দাপট বেশি থাকার পড়েও আলুর বম্পার ফলন হয়েছে। এবারে যেভাবে আলুর ফলন দেখা যাচ্ছে তাতে কোন বছরে এরকম ফলন হয়নাই। গুনাইগাছ ইউনিয়নের শুকদেবকুন্ড গ্রামের রফিকুল মেম্বার বলেন আমি প্রায় ৫০ শতক জমিতে আলুর চাষ করেছি অনেক বাম্পার ফলন হয়েছে আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আলু উঠাতে পারব বলে তিনি আশা করছেন। উপজেলার বজরা ইউনিয়নের রশিদুল ও নজরুল ইসলাম এবং জুম্মাহাট কাঁঠালবাড়ি গ্রামের সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এবার তীব্র শীত থাকার পড়েও আলুর বম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি অনেক লাভবান হব।
এ বিষয়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকা গুলোতে এবারে আলুর বম্পার ফলন হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে আলু উঠাতে পারবেন আলু চাষিরা। আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই ও পোকামাকড় নিধন সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তীব্র শীতের দাপট থেকে আলুর ফলন রেহাই পেতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৭’শ ২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৮’শ ৯০ হেক্টর। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অর্জিত বেশি হয়েছে। তিনি আরও বলেন এবারে আলু চষের আগ্রহ বেড়েছে আলু চাষিদের। উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠে আলু চাষিদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই পোকামাকড় দমন সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এবারে আলুর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে আলুর দর ভালো থাকালে আলু চাষিরা অনেক লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।”

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।