এম সাঈদ: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের কেবল ছিড়ে নিহত যশোরের সেই তিন যুবক তরিক, আজমিন ও সালাউদ্দিন। বৃহস্পতিবার নামাযে জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ৮ এপ্রিল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের জোহরবারু ফরেস্ট সিটিতে কাজ করার সময় লিফটের কেবল ছিড়ে তাদের মৃত্যু হয়। ১১ দিন পর নিহতদের লাশ বাড়িতে এলে পরিবার ও এলাকাবাসী শোকে ভেঙ্গে পড়েন। ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিছার উদ্দিন জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ছোট-পোদাউলিয়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাহউদ্দিনের লাশ বেলা ১১টায় নিজ বাড়িতে এসে পৌছায়। স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাযে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, শ্যামলাগাছি গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আজমিন হোসেনের লাশ দুপুরে নামাযে জানাযার পর উপজেলার শালতা গ্রামে তার নানার বাড়িতে দাফন করা হয়েছে । অপরদিকে নিহত শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে তরিকুল ইসলাম তরিককে দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানান বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। নিহতদের স্বজনরা জানান, পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তিন বছর আগে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিল যশোরের এ তিন যুবক। সহায় সম্বল বিক্রি ও ধার দেনা করে গিয়েছিলেন সেখানে কাজ করে দেশে টাকা পাঠালে পরিবারের সবাই ভালো থাকবে এই আশায়। কিন্তুু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস এক দূর্ঘটনায় তাদের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। নিহত হওয়ার ১১দিন পর বৃহস্পতিবার নিহতদের বাড়িতে লাশ আসার পর থেকে চলছে শোকের মাতম। পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার বাতাস। প্রতিবেশীরা শত চেষ্টা করেও তাদেরকে শান্ত করতে পারছেন না।