ঢাকাSaturday , 29 May 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামে মানসিক রোগে আক্রান্ত গৃহবধূ নুরি  চিকিৎসার অভাবে রাত কাটে হাটে-বাজারে

Link Copied!

রুহুল আমিন রুকু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাম তার নুরি বেগম, স্বামী  মতিয়ার রহমান পেশায় রং মিস্ত্রি, গ্রামঃ পলাশবাড়ী পশ্চিম পাড়া। নুরী বেগমের জীবনের গল্প- নাটক সিনেমাকেও হার মানায়। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে নুরির জন্মদাতা পিতা একাধিক বিয়ের কারণে শুরু হয় নুরির জীবনে অবহেলা ও সৎ মায়ের নির্যাতন। একসময় তাকে দত্তক নেয় কুড়িগ্রাম শহরতলির হরিরাম গ্রামের টলি চালক নজরুল ইসলাম। সেখানে অভাব অনাটনের মধ্যে বড় হয় নুরি। একটা সময় বিয়ে হয় সদর উপজেলার বেলগাছা পলাশবাড়ী পশ্চিম পাড়া রং মিস্ত্রি মতিয়ারের সাথে। নুরি প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মানসিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। পরে তার দত্তক নেয়া পিতা-মাতা রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা করলে সে কিছুটা সুস্থ হয়। একইভাবে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয়ার সময় আবারো মস্তিস্কে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নুরি। সাধ্যমত কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করান স্বামী মতিয়ার রহমান। এতে আশানুরুপ নুরি সুস্থ না হওয়ায় মতিয়ার রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এতে নুরি আরো ব্যাপকভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি ছাড়েন সে। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর গালিগালাজ আর স্বামীর অবহেলায় বেশিদিন থাকা হয় না তার। এভাবে সে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণরুপে বাড়ি আসা বন্ধ করে দেন। রাত্রি যাপন করেন শহরের হাটে-বাজারে। রাত পোহালেই কুড়িগ্রাম শহরতলির ত্রিমোহনী ও আশপাশের হাটে-বাজারে দেখা যায় নুরিকে। দিনের পর দিন বাজারে থাকাকালীন খোঁজ খবর নেয়নি পরিবারের কেউ। গত কিছুদিন যাবত নুরিকে দেখা যাচ্ছে ৭/৮ মাসের অন্তঃসত্ত¡া। ইতিমধ্যেই তার আন্তঃসত্ত¡া হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তার গর্ভের সন্তানের পিতা কে- এ প্রশ্ন সর্বমহলের। ত্রিমোহনী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, নুরি জন্ম থেকে মানসিক রোগী ছিলেন না, এমনকি এখনও পুরোপুরি মানসিক রোগী নয়। সে স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা কথা বলে, তেমন কোন অস্বাভাবিক আচরণ করে না। চিকিৎসা করালে নুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, স্বামী মতিয়ার রহমান অনাগত সন্তানকে নিজের বলে দাবি করেন এবং নুরি তার পেটে থাকা বাচ্চাটি প্রসব করলে ৫ হাজার টাকায় ওই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করবেন মর্মে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কথা হলে নুরির স্বামী রং মিস্ত্রী মতিয়ার রহমান বলেন-আমার স্ত্রী নুরি দু’টি সন্তান জন্ম দেয়ার পর সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। উন্নতk চিকিৎসা করাতে পারি নাই। ২/৩ মাস সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। তাতে কোন লাভ হয় নাই। কোনরকমে মিস্ত্রি কাজ করে জীবন বাচাই। তার চিকিৎসা এখন বন্ধ। বাড়িতে নিয়ে গেলেও সে থাকে না। যদি ঢাকায় নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো যেতো আমার বিশ্বাস সে ভালো হতো।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।