রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার চরগুলো এখন সবুজের সমারোহ। চরের বাসিন্দারা সনাতনী ফসল আবাদের পাশাপাশি এখন বাড়তি আয়ের জন্য আবাদ করছেন অর্থকরী ফসল ভুট্টার। আগাম জাতের এসব ভুট্টা চাষে পোঁকার আক্রমণ এবং রোগবালাই কম থাকায় চরের এসব কৃষকরা সাচ্ছন্দে আবাদ করছেন এই ফসলটি। চরগুলো ধুঁ ধুঁ বালুকোনার বুক চিরে সবুজের সমারোহ প্রকৃতিকে আরো নবরুপ দান করেছে। কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের এসব কৃষকরা জানান, অল্প শ্রম, কম খরচ এবং লাভ বেশী হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। প্রতি শতক জমিতে প্রায় ২ মন করে ভুট্টা উৎপাদিত হয়। এতে উৎপাদন খরচের চেয়ে দ্বিগুন লাভ হয়। শুধু তাই নয়, ভুট্টার কান্ড জ্বালানি, গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে পাতা ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভুট্টার আটা, মৎস খাদ্য, মুরগীর খাবার সহ নানা তালিকায় রয়েছে বলে জানান তারা।
জেলার উলিপুরের সাহেবের আলগার নামাজের চরের কৃষক সরবেশ আলী বলেন,’আমরা এবারি প্রথম এই চরে ভুট্টার আবাদ করতেছি। এতদিন মসলা ও বাদাম আবাদ করতাম,আশাকরি ফলন ভালো হবে,লাভবান হবো।’ রৌমারী উপজেলার চর গয়টাপাড়া গ্রামের ভুট্টা চাষী সফিকুল মিয়া ও বাগুয়ার চর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন,’বন্যার পানির সাথে জমিতে বালু আসায় এতে করে ইরি-বোর চাষ না হওয়ায় ওইসব জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে জমিতে সার বেশি লাগে। কিন্তু অন্যান্য ফসল এবং ইরি-বোর ধান চাষের চেয়ে ভুট্টার আবাদে অনেক বেশী লাভ হয়।’ ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরামের ভূট্টা চাষি ফরিদুল বলেন,’ভূট্টা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশী একারণে আমরা ভূট্টা চাষ করে আসছি। এবার ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে।’
তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভুট্টার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
