রুহুল আমিন রুকু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর বিস্তীর্ণ চর সমুহে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বুক জুরে সবজি জাতীয় এ ফসলের ক্ষেত দেখে মন ভরিয়ে যায়। বর্তমানে চলছে চাষাবাদকৃত ক্ষেত থেকে চাষীদের পটল তোলার মহোৎসব। এবারে ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চরসিতাইঝাড় (নয়ারহাট), চরকৃষ্ণপুর, পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরকার পাড়া, মাস্টার পাড়া, আকেল মামুদ, বালাডোবা ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের নামাজের চর সমুহে পটল ক্ষেত দেখে যেনো চোখ জুরে যায়। বর্তমানে কৃষাণ- কৃষাণিরা পটল আবাদ
বাজারজাত করার জন্য ক্ষেত থেকে উত্তোলন করছেন। আর সে গুলো স্থানীয় মোগলবাসা ফেরিঘাট সংলগ্ন জসিমুদ্দিন মোড়ে প্রতিদিন দেড়’শ থেকে দুই’শ মণ পটল আমদানি ও রফতানি হচ্ছে। প্রতি মণে বর্তমান বাজার ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা পর্যন্ত। আমদানি বেশি হওয়ায় আগের তুলনায় বাজার মূল্য কিছুটা কমে গেছে। স্থানীয় পটলচাষী সমশের আলী, মহুবর আলী, ফজল হক, সামছুল হক সহ কয়েকজন জানান, প্রতিদিন তাদের ক্ষেত থেকে ৩-৪ মণ করে পটল উত্তোলন করে বাজার জাত করা হয়। কম খরচে বাড়তি আয় করায় পারিবারিক ভাবে কিছুটা স্বাবলম্বী হয়েছে। পাইকেরী ক্রেতা জানান, পটল ক্রয় করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা সহ রংপুর, ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় রফতানি করা হচ্ছে। এব্যাপারে উলিপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান বালু ও পরিত্যক্ত ভূমিতে কিভাবে ভাল ফসল উৎপাদন করা যাবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ আবাদ চাষে পটলের ডাল গর্ত করে মাটিতে পুতে রাখা হয়। কিছুদিন পর তা গজিয়ে উঠে। উপরে মাচা তৈরি করে চাল বাঁধাই করা হয়। এতে পটল ফলনের ভালো সুবিধা হয়। পটল সব রোগের জন্য রোগীদের খাবার উপযোগী সবজি। বর্তমান মৌসুম ছাড়া অন্য মৌসুমে পাওয়া যায় না।