কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা হলোখানা ইউনেয়নের সুভারকুটি গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই গুরুতর আহত হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অহত পিতা মাতার ওপর বর্বরোচিত হামলার কথা শুনে একমাত্র পুত্র কুড়িগ্রাম সদর থানায় আইনগত প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করায় পুত্রও এখন জীবনের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে আত্নগোপন করেছে বলে জানা গেছে।
থানায় পুত্রের দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের মৃত্যুঃ রহমান উল্যার
পূত্র মোঃপনির উদ্দিন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়িঘর করে বসবাস করে আসছে।
বেশকিছু দিন থেকে ওই একই এলাকার প্রতিপক্ষ মোঃ নজির হোসেনের পূত্র জোসেদ আলী(৩৫), মোঃ হুজুর আলীর পূত্র জয়নুল আবেদীন(২৮) উক্ত জমিজমা ও বসত বাড়ি জোর জবরদখল করে নেয়ার উদ্দেশ্যে ২১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে পনির উদ্দিনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে পনির উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে বেধড়ক মারপিট করে স্বামী – স্ত্রী উভয়ের হাত
ভেঙ্গে দেয় এবং গুরুতর আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তারা উভয়ে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়, স্বামী- স্ত্রী উভয়ে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। পিতা- মাতার ওপর বর্বরোচিত হামলার কথা শুনে তাদের কলেজ পড়ুয়া পূত্র মোঃ নাজমুল ইসলাম অন্যত্র থেকে কুড়িগ্রামে এসে আইনগত প্রতিকার চেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি প্রতিপক্ষ হামলাকারীরা
বিষয়টি জানতে পেয়ে পনির উদ্দিনের পূত্র নাজমুল ইসলামকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ায় সেও এখন নিজ বাড়ি ছেড়ে শহরে আত্নগোপন করেছে বলে নাজমুল জানিয়েছে। অপরদিকে থানার এ এস আই জিয়াউর রহমান গতকাল বিকেলে বিষয়টি তদন্ত করেন। তিনি জানান, তদন্তে বিষয়টির
সত্যতা নিশ্চিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই সম্পর্কিত খবর
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।