ঢাকাMonday , 7 February 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খেজুর রসে তৈরি পাটালী গুড়

Link Copied!

 

রুহুল আমিন রুকু, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খেজুরের রসে তৈরি পাটালী গুড়। কুড়িগ্রামের নাগেশ^রীতে খেজুর গাছ থেকে রস নামিয়ে গুড় তৈরি করছেন গাছী আব্দুল গফফার। বাজারের চেয়ে দাম বেশি হলেও সাধারণ গুড়ের থেকে বেশি এ গুড়ের চাহিদা। সকাল হতেই উপজেলার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায় গুড় কিনতে। এ গুড় যাচ্ছে অন্য জেলাতেও।
স্থানীয়রা জানায়, শীতের ভোরে শুরু হয় খেজুর গাছ থেকে রস নামানো। এরপর চুলায় টন্ডুল বসিয়ে তাতে রস জ্বাল দেয়ার আয়োজন। উত্তপ্ত আগুনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় পাটালী গুড়। উপজেলার বাগডাঙ্গা তুলারভিটা এলাকায় এমন কর্মযজ্ঞ চলছে শীতের শুরু থেকে। স্বাদ ও মানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখানকার পাটালী গুড়। এ গুড়ের তৈরি পায়েস, শীতকালীন পিঠা ও নানা রকম আয়োজনে চলে মেহমানদারি। এছাড়াও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী খেজুর গাছ হতে পারে দৃষ্টিন্দন এলাকার উপকরণ। তাই খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সেকেন্দার আলী পাটোয়ারী, আব্দুল বাতেন বলেন ভেজাল গুড় না হওয়ায় তাদের এলাকার খেজুর রস এবং এ রসে তৈরি পাটালী গুড় বেশ জনপ্রিয়। এ গুড় দিয়ে তারা শীতকালীন নানা প্রকার পিঠা তৈরি করেন এবং আত্মীয়-স্বজন আসলে তাদেরকেও নানা প্রকার খাদ্য উপকরণ তৈরি করে মেহমানদারি করেন। গাছী আব্দুল গফ্ফার জানায়, অন্যান্য বছরের মতো এবারও শীত মৌসুমে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে নাগেশ্বরীর বাগডাঙায় এসেছেন গুড় তৈরি ও বিক্রি করতে। মাসে আয় করছেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড ঠান্ডাতেও ভোর বেলা গাছ থেকে রস নামান তিনি। তার তৈরি পাটালি, দানা, ঝোলাসহ নানা প্রকারের গুড় বিক্রি হয় বাজারের চেয়ে দিগুণ দামে। তবুও চাহিদা মেটাতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ভেজার গুড় পাওয়া যায় দেড়শ টাকা কেজিতে। তবে তার গুড়ে ভেজাল নেই। ভেজাল গুড় তৈরি করেন না তিনি। তার গুড়ের দাম বাজারের তুলনায় দ্বিগুন। তার গুড়ের দাম কেজি প্রতি আড়াইশ টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, পাটালীগুড়ের গুনগতমান ভালো হওয়ায় বেশ জনপ্রিয়। তাই খেজুর গাছ বৃদ্ধি ও গাছের সঠিক পরিচর্যাসহ খেজুর গাছ বৃদ্ধি করতে কৃষকদের উৎসাহ প্রদানে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।