ঢাকাSaturday , 28 March 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা আতঙ্কে স্তব্ধ ভূরুঙ্গামারী! বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

Link Copied!

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ভূরুঙ্গামারীতে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গত মঙ্গলবার বিকাল থেকেই স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ফাঁকা হয়ে গেছে শহর। বন্ধ হয়ে গেছে হাট বাজার, দোকানপাট, হোটেল রেস্তোরা , জনসমাগম সহ সকল গণপরিবহন। তবে ঔষধ, মুদি দোকান, কাঁচাবাজারসহ নিত্যপণ্যের দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সহায়তা করতে উপজেলায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। দিনমজুর, রিক্সা চালক, বাস শ্রমিকসহ দিন এনে দিন খায় এমন মানুষ সংকটে পড়েছে খাদ্যের ।

শনিবার সকাল ৮টায় ভূরুঙ্গামারীর জামতলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা এসেছেন কাজের সন্ধানে । কিন্তু কোন কাজ পাচ্ছেন না। একাধিক শ্রমিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এখান থেকে প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক বিভিন্ন ক্ষেতে খামারে, নির্মাণ সাইডে ও বাসা বাড়ীতে কাজে যেত । কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে প্রশাসনের মাইকিং শুনে কেউ বাহিরে আসার সাহস পাচ্ছে না। যদিও আমরা কয়েকজন শ্রমিক এসেছি কিন্তু কেউ কোন কাজ পাই নাই।

দিনমজুর বেলাল জানান, আমরা দিনে কাজ করে সন্ধ্যার পর সেই কাজের পারিশ্রমিক দিয়ে বাজার করে পরিবারের খাবার যোগান দেই। গত তিন দিন থেকে কোথাও কোন কাজ পাচ্ছি না। এখন কি করবো সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।

অটো চালক সুমন বলেন, আমি প্রতিদিন চারশত টাকা জমার শর্তে ভাড়ায় অটো চালাই। গত দুই দিন থেকে অটো নিয়ে বাইরে যেতে পারছি না। রোজগার বন্ধ। আর কিছু দিন এমন চললে না খেয়ে মারা যাবো।

হত দরিদ্রদের সাহায্যের জন্য ত্রানের ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এখনো পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তেমন উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন,ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৪৩০টি প্যাকেট বরাদ্দ করা হয়েছে। কবে নাগাদ এই বরাদ্দ বন্টন করা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে, আজ কালের মধ্যেই বিতরণ করা হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।