ঢাকাWednesday , 10 August 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এসিল্যান্ড মাহমুদ আল হাসানের ছোয়ায় বদলে গেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভূমি সেবার মান!

Link Copied!

জাহিদ হাসান জীবন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেবায় পাল্টেছে উপজেলা ভূমি অফিস শতভাগ অনলাইন আপডেট ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র, সপ্তাহে পাঁচদিন গণশুনানি সহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমির নামজারি ও খারিজসহ নানামুখী সেবায় পাল্টে গেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস।
 ভূমি অফিসে সেবা নিতে নেই তৃতীয় পক্ষের দৌরাত্ম। কোনো হয়রানি ছাড়াই মিলছে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের নানামুখী সেবা পেয়ে খুশি সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। যারা এক সময় তৃতীয়পক্ষের সহায়তা ছাড়া জমির কোনো কাজই করতে পারতেন না, তারাই এখন নিজের সমস্যার কথা নিজেরাই ভূমি অফিসে এসে বলতে পারছেন। সেবাগত এই পরিবর্তনের সাথে একটি চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে ভূমি অফিসের পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজও এগিয়ে চলছে।
গতকাল সোমবার উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে কথা হয় বেলকা চরের বেলকা ইউনিয়ন থেকে ১১কিলোমিটার পথ নৌকায় ও পায়ে হেটে নামজারি করতে আসা কালাম মিয়ার সাথে। তিনি জানান, ‘দুই বছর আগে একবার খারিজ চ্যায়া চারদিন এহানে আসা নাইগছে। হের পর এরে ওরে (দালাল) ধইরা অনেক ট্যাহা দিয়া কাজ করছি। আর এবার তারিখ দিছিলো আইজক্যা। আইলাম আর পায়া গেলাম।বাড়তি ট্যাহাও দেওয়া লাগে নাই।
জমির মিসকেসের শুনানির জন্যে আসা উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামের আলম মিয়া জানান, আমার জমির বিষয়ে সমস্যা জানিয়ে দরখাস্ত দিছিলাম। গতকাল এসিল্যান্ড স্যার (উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি) নিজে আমাকে ফোন দিছে আজকে আসতে বলছে আমি আসছি রেজাল্ট যাই হোক স্যার আমাকে ফোন দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেছেন এতে আমি অনেক খুশি।খুশির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেন,এর পূর্বে প্রায় ২বছর আগে আমার জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে এই ভূমি অফিসে এসেছিলাম তখন এতটা দায়িত্ববোধ ও গুরুত্বসহ কাজ করতে দেখিনী।আর এখন সাধারণ মানুষ বর্তমান এসিল্যান্ড স্যারের সাথে সরাসরি দেখা করে তার সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং তার সুষ্ঠু সমাধানও পেয়ে যান।এমনকি এসিল্যান্ড স্যার সাধারণ মানুষের কথা শোনার জন্য বাহিরে বসেন যাতে করে তাকে কেউ খুঁজতে হয়রানি কিংবা সময় না নষ্ট হয়।সেই সাথে ভূমি অফিস কে করেছেন দালাল মুক্ত।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই অফিসের বন্ধ হওয়া গণশুনানি বর্তমানে চালু হয়েছে। সেইসাথে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও একটি পৌর ভূমি অফিসেও লেগেছে এই পরিবর্তনের হাওয়া। ভোগান্তি ছাড়া স্বল্পসময়ের মধ্যে সেবা প্রার্থীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন এখন। শুনানিকালে কোনো পক্ষের কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে আবেদন বাতিল না করে তাকে সময় দেওয়া হচ্ছে। কোনো কাগজের নকল পেতেও কোনো বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় না। নানামুখী এসব সেবার পাশাপাশি উপজেলা ভূমি অফিসের পরিবেশগত ও অবকাঠামোগত পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সহকারী কমিশনার ভূমির উপস্থাপিত নকশা ও কর্মপদ্ধতির প্রশংসা করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ অলিউর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ -আল-মারুফ । সেবাগ্রহিতারা এই অফিসে এসে দ্রুত সেবা যেমন পাবে তেমনি রোদে কিংবা বৃষ্টিতে তাদের কষ্ট করতে হবে না।
বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারির সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তা ও সার্বিক পরামর্শে সামনে থেকে এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আল হাসান। তিনি জানান, এখানে যোগদানের পর থেকে ডিসি স্যার ও ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় ভূমি সংক্রান্ত সকল ফাইল ও সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। যিনি সেবাপ্রার্থী কেবলমাত্র তাকেই অফিসে আসতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে করে তৃতীয়পক্ষের ভোগান্তি থেকে তারা রক্ষা পাবে। সেবার বিষয়ে তিনি জানান, যে সেবা অফিস থেকে দেওয়া সম্ভব তাৎক্ষণিক তা দেওয়া হচ্ছে। যেটাতে সময় লাগবে সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বরে এসএমএস অথবা ফোনে নির্ধারিত তারিখ বলে দেওয়া হচ্ছে। আর যে সেবা এখান থেকে দেওয়া সম্ভব নয় সেই সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন একজন অফিসার চাইলে উপজেলার অনেক উন্নতি ঘটাতে পারেন। বিষয়টি আমাদের নাড়া দিয়েছে। সৃজনশীল কাজ করার মানসিকতা যেমন আছে, তেমনি ডিসি স্যার ও বর্তমান এমপি স্যার এবং পৌর মেয়রের সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। এ কারণে ভূমি অফিসের সেবার মান পরিবেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আল হাসান এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,অবৈধভাবে আবাদি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থ জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছেন।এছাড়াও তিনি সরকারি খাস জমি উদ্ধারকাজে ব্যাপক তৎপরতা চালান এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন। উল্লেখ্য, ২০২১সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোবাইল কোর্টে মামলার সংখ্যা প্রায় ১৮০টি। মোট জরিমানা প্রায় ২০লাখ টাকা।বালু মহলে অভিযুক্ত ২১ জনের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।