ঢাকাSaturday , 16 November 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উলিপুরে শতভাগ প্রাঃ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত সমস্যায় জর্জরিত চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

Link Copied!

রুহুল আমিন রুকু,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃনদী মাতৃক জেলা কুড়িগ্রামের উলিপুরে চরাঞ্চরের স্কুল-শিক্ষকদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি যেমন দিন দিন বেরে চলছে, তেমনি পাঠদান কার্যক্রমও ভেঙ্গে পরেছে। তাদের দুর্বিসহ জীবন-যাপনের মধ্যদিয়ে চলছে চরের পাঠদান কার্যক্রম। শুস্ক মৌসুমে নদী পার হয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটা এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা মৌসুমে উত্তাল নদী পাড়ি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর পর মানসিক বিপর্যয় ঘটছে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের। ফলে চরাঞ্চলের শিক্ষকদের প্রণোদনা চালু এবং বদলি জটিলতা নিরসনসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিও শিক্ষকদের মানসিক চাপ দুর করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ উপজেলায় ৩ টি নদ-নদীতে প্রায় ২ শতাধীক ছোট-বড় চর রয়েছে। এখানে ১৩টি ইউনিয়নসহ ১টি পৌরসভায় প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ৭/৮টি ইউনিয়নের নদ-নদী বেষ্টিত চর ও দ্বীপচরে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে। বিচ্ছিন্ন এই জনপদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে রয়েছে সরকারি, বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার ২৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুর্গম ও কাইম চর গুলোতে মোট ৩৩টি এবং বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে মোট ৫৬ টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষক।
সরকার সারা দেশে শতভাগ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মুখি পদক্ষেপ গ্রহন করলেও চরাঞ্চলে শতভাগ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা, দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও অনুন্নত অবকাঠামো এবং শিক্ষক সংকটের কারণে প্রাথমিকেই ঝরে পড়ছে চরের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাশ্ববর্তী চিলমারী নৌ-বন্দর, হাতিয়া অনন্তপুর খেয়াঘাট, নয়াডারা খেয়াঘাট, কর্পুরা খেয়াঘাট, গোড়াইপিয়ার-থেতরাই-হোকোডাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি খেয়াঘাট থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট নৌ-পথ পাড়ি দিয়ে দেড় ঘন্টা হেঁটে শিক্ষকদের একটি বিদ্যালয়ে পৌছাতে সাড়ে ১১টা বেজে যায়। আবার ফিরতে হয় বিকেল ৩ টার নৌকায়। নৌকা ধরতে না পারা ও বাড়ী না ফেরার ভয়ে বাধ্য হয়ে ১ টা থেকে দেড়টার মধ্যেই স্কুল ছুটি দিচ্ছেন শিক্ষকরা। অপরদিকে, যাতায়াতের দৈনন্দিন শিক্ষকদের খরচ ২০০/৪০০ টাকা হারে মাসিক খচে প্রায় বেতনের অর্ধেক। তাই প্রায় দিনই স্কুল ফাঁকি দিচ্ছেন শিক্ষকগণ। উপজেলার নদী বিচ্ছিন্ন দূর্গম চরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হালহকিকত দেখতে গেলে জানাযায়, মেকুরের অলগা সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেরাগির আলগা সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন হাজারীর চর সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর দূর্গাপুর সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৈ-খাওয়ার চর সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুখের বাতির চর সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় এ সকল বিদ্যালয়ের বেশির ভাগই শিক্ষার্থীর সংখ্যা পর্যাপ্ত থাকলেও শিক্ষক পদ সংখ্যা কম, দীর্ঘদিন থেকে একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী ও শিক্ষকদের উপস্থিতি সংখ্যা কম দরুন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। শহরের শিক্ষকের তুলনায় চরের শিক্ষকরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্থানীয়রা জানান,‘ চরের স্কুল গুলোতে শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে আসেন। স্কুলে আসে ১১- ১২টার দিকে। সিরিয়ালের নৌকা ধরার জন্য তারাতারি ছুটি দেন।’ উপজেলার কয়েকজস শিক্ষাবিদ’র সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, চরাঞ্চলের মানসম্মত পাঠদানের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষক সংকট দূরিকরণ, চরের শিক্ষকদের বিশেষ প্রণোদনা চালুসহ অন্তত ২/৩ বছর পর স্বয়ংক্রিয় ভাবে বদলী পদ্ধতি চালু করা দরকার। এতে শিক্ষকদের মানসিক চাপ কমার পাশাপাশি বদলী বাণিজ্য কমে আসবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ গণ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন স্বীকার করেন চরাঞ্চলে প্রক্সি টিচারসহ নানা সমস্যার কারণে শিক্ষার মান এখনো সন্তোষজনক নয়। এই নীতিমালা সংশোধন প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।