ঢাকাSaturday , 9 March 2024
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউপি চেয়ারম্যানসহ পরিবারের ৭ সদস্য অচেতন হয়ে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে

Link Copied!

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ বাড়ির ৭ সদস্য এক সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের সবাইকে চিকিৎসার জন্য শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অসুস্থ অন্যান্যরা হলেন, চেয়ারম্যানের মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা এবং ছকিনা বেগম।
চেয়ারম্যানের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত বুধবার সকালের খাবার খেয়ে মোজাম্মেল হক ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে গিয়ে দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায় সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এসময় বাড়ির সবাই অসুস্থ বোধ করতে থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ অচেতন হয়ে পরে। আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছিল না। চেয়ারম্যানও আবার প্রায় অচেতন হয়ে পড়েন। দেখে মনে হচ্ছিল প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে তার। একা হাঁটতেও পারছেন না। সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কেদার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। চেয়ারম্যানের বাড়ির ভেতরে কেউ ১০/১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক কিছু ছিটিয়েছেন।
বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমিসহ বাড়ির সবাই অসুস্থ হয়ে বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমাদের চিকিৎসা চলছে। আমার বাড়িতে বেড়াতে আসা তিন বোন আরও বেশি অসুস্থ।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম সায়েম বলেন, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। তারা অ্যাম্বুলেন্সে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে গেছেন। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে অথবা ঘরে চেতনানাশক ছিটিয়েছে।
কচাকাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সর্রদার বলেন, রাতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে এক সঙ্গে ৮ জন এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এলে জানা যাবে তাদের কেন এমনটা হয়েছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।