কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে চলতি মৌসুমে আমন ধান ক্ষেতে ইঁদুরের ভয়াবহ উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে বিঘায় বিঘায় ধানক্ষেত ইদুরে তাণ্ডবে বিনষ্ট হয়েছে আধাপাকা আমন ক্ষেত। কৃষকরা কীটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রয়োগ করেও কাজে আসছে না। ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা গেছে উলিপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকার রাজারামক্ষেত্রী, নিজাই খামার, পূর্ব নাওডাঙ্গা, পশ্চিম নাওডাঙ্গা ও নারিকেল বাড়িতে চলতি মৌসুমে আধাপাকা আমন ক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা মিলছে না উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের গত ১০ দিনে ইঁদুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা রাত জেগে টিনের ড্রাম বেঁধে শব্দ দূষণ করেও ফল পাচ্ছে না। অনেকে ইদুর মারার কীটনাশক মানা কসুর গাছের ডেরা কলা গাছের ডেরা ব্যবহার করে কোন ফায়দা হয় নেই। পৌরসভার পশ্চিম নাওডাঙ্গা বাকরের হাট গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর পুত্র এরশাদ আলী(৫০) জানায় তার আবাদকৃত দেড় একর জমির আধা পাকা ধান তারমধ্যে ৫০শতাংশ ধান ইঁদুরের আক্রমণে বিনষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করে বাঁশের তৈরি চৌদ্দ খানা ফাঁদ তৈরি করে খাদ্য গুড়া ও ধান দিয়ে ধানক্ষেতে সন্ধ্যার আগে ফাঁদ পেতে রাখে সকালে তুলে দেখে দশ-বারোটি করে ইঁদুর আটকা পড়েছে।এমনটি দেখে অনেকে তার সহযোগিতা নিচ্ছে তাতে অনেক ফল পাওয়া যাচ্ছে। এরশাদের এ ইঁদুর মারা ফাঁদ এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করছে। তিনি গত ৭ দিনে ৬৫ টি ইঁদুর মারতে সক্ষম হয়েছে। একই গ্রামের কৃষক শহীদুল্লাহ তার ১০ শতাংশ ধান ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে, পার্শ্ববর্তী রাজারাম ক্ষেত্রে গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ১৫ শতাংশ, মঞ্জুমিয়ার ২০ শতাংশ নিজেই খামার গ্রামের সাহেব আলীর ১৫ শতাংশ, মোতালেবের ১২ শতাংশ, রহিমুদ্দিনের ২০ শতাংশ, গোলাপ উদ্দিনের ২০ শতাংশ আব্দুল হাই এর ১০ এন্তাল হকের ৮ শতাংশ পশ্চিম নলডাঙ্গা গ্রামের নজির হোসেনের ৩০ শতাংশ আব্দুল হকের ২০ শতাংশ বিনষ্ট হয়েছে। তাছাড়াও অনেকের কৃষকদের আধা পাকা আমন ধান ক্ষেত ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা ধান ক্ষেতে ইঁদুর আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তাদের অনেকে সাক্ষাতে জানায় উল্লিখিত ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ বা সাক্ষাৎ পাওয়া যাচ্ছেনা।