উজ্জ্বল রায়■: এক মহিলার স্বামী ছিল ভগবান বিদ্বেষী। সেই মহিলার অভ্যাস ছিল প্রতিটি কাজ করার পূর্বে “হরেকৃষ্ণ” বলা, হউক সেটা কাজ, হাঁটা অথবা কথা।কিন্তু তার স্বামী ”হরেকৃষ্ণ” শব্দটি শুনলেই বিদ্রুপ করত ও বিরক্তি বোধ করত। একদিন তার স্বামী মনে মনে চিন্তা করল, আমি এমন একটি কাজ করব যা দ্বারা সে “হরেকৃষ্ণ” বলতে লজ্জিত হবে। একদিন সে স্ত্রীর কাছে একটি থলে দিল এবং তাকে বলল, তুমি এটাকে সাবধানে রেখ, কারণ এর মধ্যে বেশ টাকা আছে। ঐ মহিলাটি থলেটিকে এক জায়গায় লুকিয়ে রাখলো।সুযোগ বুঝে এক সময় তার স্বামী থলেটি নিয়ে নিল এবং থলেটি থেকে টাকা গুলো নিয়ে তা বাড়ির কূপে ফেলে দিল। পরদিন স্ত্রীর নিকট এসে থলেটি ফেরত চাইল।মহিলাটি যথাস্থানে এসে “হরেকৃষ্ণ” বলে হাত বাড়িয়ে দিল। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তৎক্ষণাৎ এক দূতকে অবতরণের আদেশ প্রদান করলেন এবং থলেটিকে তার স্থানে পূর্বের ন্যায় রেখে দিতে বললেন।অবশেষে সে তা যেভাবে রেখেছে সে ভাবেই টাকাসহ ফেরত পেল। তার স্বামী আশ্চর্যান্বিত হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে কেঁদে কেঁদে করে ক্ষমা চাইল।সে প্রতিজ্ঞা করলেন এখন থেকে তিনি নিয়মিত ভগবানের দিব্যনাম ”হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র” জপ করবে এবং তার স্ত্রীর মত সর্বদা হরেকৃষ্ণ দিব্যনামটি উচ্চারন করবে।