ঢাকাWednesday , 29 May 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সান্তাহার কৃষক পরিবারে এবার নেই ঈদ উৎসব।

Link Copied!

আতিকুর হাসান,আদমদীঘি(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার সব মাঠ থেকে ধান কাটছেন কৃষকরাইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও দাম পায়নি কৃষক। উৎপাদিত ধানের মূল্য না থাকার কারনে কৃষকরা এখনও ধান বিক্রি করতে না প্রায় সবকৃষকেরগোদামঘড়েবাগোলাতে ধান এখনও মজুত আছে।উৎপাদনখরচও উঠছে না তাদের। অনেকেইবিভিন্নপ্রতিষ্ঠান থেকে কৃষি লোন নিয়ে ধান বিক্রি করে তা পরিশোধ করতে পারছেনা।এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। তাইতো এবার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে কৃষক পরিবারে নেই ঈদ উৎসবের আমেজ। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের।  ঈদের কয়েকদিনবাকিথাকলেওজমেনিকেনাকাটা।কৃষকরা জানিয়েছেন, অর্থাভাবে বেশিরভাগ পরিবারেই এখনও নতুন জামাকাপড় কেনা হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন দোকানের ঋণ শোধ করতে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। টাকা না থাকায় উক্ত উপজেলার কৃষক পরিবারের বেশিরভাগই এবার বঞ্চিত হবেন ঈদ আনন্দ থেকে।সান্তাহার মালশন গ্রামের  গ্রামের কৃষক স্বপন হোসেন বলেন, ‘লাভের আশায় এবার ২ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম। আবহাওয়াঅনুকূলেথাকায়ওপোকামাকড়ের তেমন কোনও উপদ্রুপ না থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি  ১৮-২০ মণ ধান পেয়েছি। ফলন ভালো হলেও ধান চাষ করে কোনও লাভ হচ্ছে না। কারণ ধানের দাম নেই। বর্তমানে প্রতিমণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকায়। ফলে প্রতিমণ ধানে ২০০-৩০০ টাকার মতো লোকশান গুনতে হচ্ছে।
> মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক
> তিনি আরও বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করতে আমাদের খরচ হচ্ছে ১১-১২ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ধান বিক্রি হচ্ছে ৮-৯ হাজার টাকার। এতে বিঘাপ্রতি ৩-৪ হাজার টাকা করে লোকশান হচ্ছে। তারপরও কেউ ধান নিতে চাচ্ছেন না। ফলে আমরা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছি। আমরা ধান চাষ করে সর্বস্বান্ত হচ্ছি। মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। ঈদের আগে ধান ঘরে আসায় খুশি হয়েছিলাম। এখন তো সেই ধান গলার কাটা হয়ে গেছে।’শুধু স্বপন ই নয়  ঈদের আনন্দ মলিন হতে বসেছে আদমদীঘি উপজেলার দমদমা ও কদমা,করজবাড়িরএকাধিককৃষকপরিবারে। লোকসানের মুখে পড়ে কৃষিকাজে আস্থা হারাচ্ছেন এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক। লোকসান থেকে বাঁচতে সরকারের কাছে ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবি জানিয়েছেন তারা।অন্যান্য বছরে এসময় উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম থাকে, জমজমাট কেনাবেচা হয়। এ বছরের দৃশ্য খানিকটা ভিন্ন। কিন্তুু এ বছর ঈদেও জমে উঠেনি বাজার। ঈদের বাজারে এখনও ক্রেতা শূন্য।সান্তাহার আয়েজ প্লাজার স্টাইল জোন  ফ্যাশন হাউসের মালিকমোঃমাজেদ  বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে, কৃষকদের ধান কাটা শুরু হলেই বাজারে ব্যাপক ক্রেতাদের সমাগম ঘটে। সেসময় আমাদের বিক্রিও ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। প্রতিবছর এমন সময় ক্রেতাদের চাপে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু এবছর চিত্র পুরোপুরি উল্টো। ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও আশানরূপ ক্রেতা নেই মার্কেটে। ধানের দাম কম থাকায় কেনাকাটায় তেমন আগ্রহ নেই কৃষকদের। যার কারণে বাজারে ক্রেতা কম।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।