ঢাকাFriday , 24 May 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্রীপুরে সীম বায়োমেট্রিক প্রতারণা চক্রের ৪ সদস্য আটক

Link Copied!

মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের শ্রীপুরে সীম বায়োমেট্রিক প্রতারণা চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে গোপনে বায়োমেট্রিক করা ৪০টি সীম সহ বায়োমেট্রিক করার ৩টি ট্যাব ৫টি মোবাইল ও স্কিন প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।
২২ মে বুধবার দিন ব্যাপী ফরিপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করেন শ্রীপুর উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা বিপিএম।
আটককৃতরা হলো, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার গয়েশপুর গ্রামের মাহমুদ শেখের ছেলে লালন শেখ (২৫), একই থানার লস্করদিয়া গ্রামের সোবাহান শেখের ছেলে ইমরান হোসেন (২১), ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার ভাটপাড়া গ্রামের ছালাম খানের ছেলে রাশেদ আহম্মেদ খান (২৪) ও ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার শসা গ্রামের এস্তেফা মাতব্বর ছেলে শাহীন মাতব্বর (২৭) ।

গোপনে যাদের নাম দিয়ে বায়োমেট্রিক করা হয়েছে এমন কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে তাদের সম্পর্কে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায়।
নিজের নামে ৭টি সীম বায়োমেট্রিক করা ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার ভুক্তভোগী গৃহিনী তাহমিনা বেগম জানান, গত তিন মাস আগে দুইজন ছেলে এসে বললো, খালা সীম কিনবেন মাত্র ১০ টাকা। তখন আমার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে ফিংগার দিলাম। ৮-৯ বার আঙুলের ছাপ দেয়ার পরও তারা আমাকে জানায় হয়নি। আমি না দিতে চাইলে তারা বলে এবারই শেষ, দেন হবে। এমন করার পরও তারা আমার আইডি কার্ড ফিরিয়ে দিয়ে বলে আজ হবেনা।
আরেক ভুক্তভোগী গৃহিনী শেফালী জানান, আমাদের বাড়ীতে তারা সীম নিয়ে এসে বলে-আপা ১০ টাকায় সীম কিনবেন ? সাথে ৫০ টাকা ফ্রি। এ সময় আমার ভোটার আইডি কার্ড দিতে বলে তারা। পরে আমার আঙুলের চাপ নেয়া হয়। আমি ৫-৬ বার ছাপ দেয়ার পরও তারা আমাকে বলে, আপনারটা রেজিষ্টেশন হয়নি। আগামীকাল সীম দিয়ে যাবো। কিন্তু তারা আর আসেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা বিপিএম জানান,ঘটনার শুরু একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর লোডেড ট্রাক উধাও হওয়াকে কেন্দ্র করে। গত মার্চ মাসের ২৩তারিখ শ্রীপুর উপজেলার এক্স সিরামিক কারখানা থেকে বিবাড়িয়া ট্রান্সপোর্টের একটি ট্রাক টাইলস বোঝাই করে খুলনার রিপা এন্টারপ্রাইজে যাচ্ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাক না পৌছায় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীগুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে ট্রাক চালক ইমরান শেখকে ফোন দিলে তার। মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। চালকের সহকারীকে ফোন দিলে তা অন্য একজন রিসিভ করেন। যোগাযোগের জন্য ট্রাকের মালিকের মোবাইলে ফোন দিলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে তখন থানায় মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনার সাথে টেলিকম সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন জড়িত বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান,মামলার প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আসামি ট্রাক চালক ইমরান শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল সেটসহ তার দেহ তল্লাশী করে আরো ৪টি বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রারড সিম উদ্ধার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিতে আরো জানা যায়, ইমরান, রাশেদ ও শাহীন গ্রামীন ফোন কোম্পানীর এস আর হিসাবে চাকুরী করেন। তারা লালন শেখ কে বায়োমেট্রিক করার জন্য বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনের সীম সাপ্লাই দিতো। গ্রেপ্তারের পর ২৩ মে বৃহস্পতিবার কোর্টে নিয়ে তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম জানান, গ্রাম অঞ্চলে সিম বিক্রির নাম করে এক ব্যক্তির বায়োমেট্রিক স্কেন নিয়ে একাধিক সিম রেজিস্ট্রেশন করে থাকে এ চক্র। পরে রেজিস্ট্রারর্ড সীম অপরাধীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতো তারা।এ ঘটনায় লালন শেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।