নাজমুল ইসলাম শরণখোলা প্রতিনিধিঃ
শরণখোলা উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন-২০১৯ মনোনয়ন প্রত্যাশী জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন শরণখোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী-যুবলীগের আহ্বায়ক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান মিলন। সততা, মেধা, দলের জন্যে সার্বক্ষণিক পরিশ্রম ও সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার সক্রিয়তাই তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষ ও নেতা কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত দেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত সুন্দরবন ঘেঁষে গড়ে ওঠা জনপদের সাধারণ মানুষ আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রিয় নেতা মিলনকে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বপ্ন দেখছেন। মিলন ২০১১ ও ২০১৬ সালের স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনসাধারণের বিপুল সমর্থন নিয়ে তার নিকটতম প্রার্থীকে কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখনও তিনি উপজেলার অন্যান্য নেতাদের চেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ আকন ও অপর সহ-সভাপতি ১নং ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান জোমাদ্দার জানান-সাবেক এ ছাএনেতা,বর্তমানে ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান মিলন কে ঘিরে দলের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তিনি শরণখোলায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
দলের হাই কমান্ড তাকে মনোনয়ন দিলে সরকারের সুনাম বৃদ্ধিসহ অবহেলিত নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। পাশাপাশি জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা কয়েক গুন বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম. এ খালেক খান বলেন, তাকে ঘিরেই শরণখোলা উপজেলার মানুষ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন।
খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল কবির কিচলু বলেন, দলীয় নীতি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান মিলন এখনও অপ্রতিদন্ধী।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক ও দক্ষিণ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের অভিভাবক আমার প্রিয় নেতা শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্দেশে আমি সেদিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম। মনোনয়নের ক্ষেত্রে দল সুবিবেচনা করলে আমি মনোনয়ন পাব এবং ব্যাপক ভোটে জয় লাভ করে দলের সুনাম ধরে রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
