মোঃ আলী হাসান: পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ও আটাপুর ইউনিয়নের শুন্যরেখা বেড়াখাই এলাকায় তুলশীগংঙ্গা নদীর উপর লোহার পাতে নির্মিত বেইলি ব্রীজটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রীজটির পাটাতন প্রকৌশল অফিস শত জোড়া-তালি দিয়ে চালাচ্ছেন। এছাড়া ব্রীজটির উভয় পার্শ্বে বিছানো ইটগুলো যানবাহন চলাচলের ফলে ইট-বালি আলাদা হয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজটির উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কয়েক গ্রামের হাজারও লোকজন, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, সাইকেল, মটরসাইকেল, ভ্যান-ইজিবাই চলাচল করছে। অপরদিকে পন্য বোঝাঁয় পিকআপ, মেসি-ট্রাক, বাস-ট্রাক চলাচল একেবারে বন্ধ। একারনে এসব বাস-ট্রাক অনেক দূর ঘুড়ে যেতে হয় গন্তব্য স্থানে ফলে সময় এবং খরচ বেশী লাগে।
সরেজমিনে দেখাযায়, উপজেলার রামপুরা গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ৩টি ভ্যান করে পরিবারের সদস্যকে নিয়ে ওই ব্রীজের উপর দিয়ে সরাইল গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাচ্ছেন। ভ্যান থেকে যাত্রীদের নেমে দিয়ে বৃদ্ধ ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অপর ভ্যান চালকদের সহায়তায় ভ্যানগুলো পার করছেন। ভ্যান চালকরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রীজটির এমন অবস্থা যদি ব্রীজটির উভয় পাশে পাকা করে দিত আমাদের কষ্ট একটু কম হত। দিনাজপুরের হিলি পোর্ট থেকে মিরাজুল ইসলাম নামের ড্রাইভার পাথর বোঝায় ট্্রাক জয়পুরহাটের হয়ে ঢাকায় পৌছে দিয়ে খালি ট্্রাক নিয়ে এ ব্রীজের উপর দিয়ে হিলিতে ফিরছেন। তিনি বলেন, ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ন ও উভয় পাশের অবস্থা ভাল না একারনে প্রায় ৩০-৩৫ কিঃমিঃ অতিরিক্ত রাস্তা আমাদেরকে বেশী ঘুড়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। মিরাজুল আরো বলেন, খালি ট্্রাক ব্রীজ দিয়ে পার করা গেলেও মাল বোঝায় কোন ভাবেই যায় না।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের জেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ঝুঁকিপূর্ন ব্রীজটির বিষয়ে উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ করা হবে বলেও জানান তিঁনি।