ঢাকাMonday , 8 October 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের লাঠির আঘাতে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী যুবক

Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদঃজেলা প্রতিনিধিঃ
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য চেয়ারম্যানের চাহিদামত এক হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার পর ২ বছরেও ভাতা না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাওয়াটাই অপরাধ প্রতিবন্ধী আশরাফুলের। আর এই অপরাধেই চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতেই চড়াও হলেন প্রতিবন্ধী আশরাফুলের উপর। লাঠি দিয়ে বেধম মারধর করে উল্টো বিষয়টি গ্রামবাসিকে না জানানোর হুমকি দিয়ে হাতে ৩০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চেয়াারম্যান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই প্রতিবন্ধী।
৫ অক্টোবর লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। এরপরে হাত ও পায়ে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে মারধরের শিকার প্রতিবন্ধী আশরাফুল জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে আজ সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
চেয়ারম্যানের নির্যাতনের শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী আশরাফুল ওই ইউনিয়নের তালুক হারাটি এলাকার রমজান আলীর ছেলে।
এবিষয়ে খোঁজ নিতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলায় সার্জারী ওর্য়াডে ৪৬ নম্বর বিছানায় শুয়ে আছে প্রতিবন্ধী আশরাফুল। তার কাছে জানতে চাওয়া হলে অস্পষ্ট উচ্চারনে আশরাফুল জানায়, ‘২ বছর আগে তার মায়ের কাছে প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেওয়ার জন্য ছবি, আইডি কার্ডের ফটোকপি ও এক হাজার টাকা নেয় চেয়ারম্যান রফিক।’
কিন্তু কার্ড না হওয়ায়  তার মাকে সাথে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান দেখা করতে। সেখানে চেয়ারম্যানের দেখা হলে সেই এক হাজার টাকা ফেরত চায় তার আশরাফুল ও তার মা। এসময় আশরাফুল বলে, ‘টাকা না দিলে চান্দের বাজারে মোটর সাইকেল আটকানো হবে।’ এ কথা শুনেই লাঠি ও দরি কই বলে চিল্লাতে থাকে চেয়ারম্যান। একপর্যায়ে পাশ থেকে একটি লাঠি তুলে আশরাফুলকে বেধম পেটায় চেয়ারম্যান। এসময় আশরাফুলের মা চেয়ারম্যনের কাছে অনুনয় করে ছাড়িয়ে নেন পাগল ছেলে আশরাফুলকে। তখন চেয়ারম্যানের বউ বাড়ির ভেতর থেকে ৩০ টাকা এনে হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঘটনাটি গ্রামে কাউকে না জানাতে বলে। পরে শরীরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলে গ্রামবাসির সহযোগিতায় ওই রাতেই সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় আশরাফুল।
এবিষয়ে হাসপাতালে থাকা আশরাফুলের মা আকলিমা বেগম বলেন, ‘একজন চেয়ারম্যান হয়ে একটা পাগল মানুষকে এভাবে মারবে তা তিনি ভাবতেই পারেন নি।’ তিনি এই ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য চাইলে হারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘ওই পাগলা আমাকে মারতে চেষ্ঠা করেছিল।  তাই আমি দুই চারটি চর থাপ্পর মেরেছি।  আর তুচ্ছ ঘটনাটিকে বড় করতেই তার বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে আশরাফুলকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। তিনি ওই প্রতিবন্ধীর নিকট ভাতা করে দেওয়ার নাম করে কোন টাকা পয়সা নেননি বলেও দাবি করেন।
এদিকে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে আশরাফুলের মা আকলিমা বেগম।
 অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এন.বি. নিউজ ৭১ কে জানান, মৌখিক ভাবে বিষয়টি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।