ঢাকাTuesday , 9 October 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লালমনিরহাটে আগাম বইছে নবান্নের উৎসব

Link Copied!

রাশেদুল ইসলাম রাশেদঃ জেলা প্রতিনিধি :
এদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষদের মঙ্গা এলাকার মানুষ বলা হতো। আশ্বিন ও কার্তিক মাসে মানুষের কোনো কাজ কর্ম ছিল না। ফলে বাড়িতে বসে অলস সময় পার কারতো শ্রমজীবী মানুষদের।
আশ্বিন ও কার্তিক মাসে মানুষের যে অভাব অনটন ছিল তাকে বলা হতো ‘মঙ্গা’। তবে এখন আর আগের মতো ‘মঙ্গা’ নেই। কালের বিবর্তন ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন দিন তা বদলে গেছে।
পশ্চিমে তিস্তা নদী আর পূর্বে ভারতীয় সীমান্তের মাঝখানে অবস্থিত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা। আশ্বিন মাসের শুরু থেকে হাতীবান্ধায় কাটা শুরু হয়েছে আগাম জাতের পাকা ধান।
আর সেই আগাম জাতের নতুন পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছে কৃষক। এতে করে কৃষকের মঙ্গাও কাটছে মুখে হাঁসিও ফুটছে। ‘মঙ্গা’ পেটানো আগাম জাতের এ ধান কৃষকের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিয়েছে।
আশ্বিনেই যেন নবান্নের সাড়া পড়েছে কৃষকের ঘরে ঘরে। ধান কাটার পর আবার সেই জমিতে আলু, শাখ, সবজি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা যায় ধান ক্ষেতের মাঝে উঁকি দিচ্ছে আগাম জাতের সোনালি ধান। আর সেই ধান কাটতে ও মাড়াই করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। যাদের আবার ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়েছে। তারা জমি চাষ করে নতুন ফসলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা গেছে, আষাঢ় মাসের শুরুতেই অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে এ জাতের ধানের চারা লাগানো হয়। চারার বয়স ২৫দিন হলে তারপর জমিতে রোপন করা হয়। জমিতে রোপনের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ধান পাকা শুরু হয়। আর সেই ধান ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কেটে ঘরে তোলা হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এর উদ্ভাবিত আগাম জাতের ধানগুলো হলো, বিনা-৭, ব্রী ৩৩, ব্রী ৫৬, ব্রী ৬২, পূর্বাচী ও হাইব্রীড।
হাতীবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এ বছর আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে, ১৮শত ২৮ হেক্টর জমিতে।
হাতীবান্ধা উপজেলার আরাজী শেখ সুন্দর গ্রামের এক কৃষক বলেন, আমি গত বছর ২ বিঘাতে আগাম জাতের ধান আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর ৭ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান আবাদ করেছি। এর মধ্যে ৮০ শতক জমির ধান কেটেছি। ৮০ শতক জমির ধান হয়েছে ৪২ মণ।
উপজেলার পারুলিয়া চরের কৃষক একাব্বর হোসেন এন.বি নিউজ৭১কে জানান, আগাম জাতের ধান অাবাদ করে দিন দিন মঙ্গা কমে যাচ্ছে। ধানের ফলন ও দাম দুটোই ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ধান ৮০০ থেকে ৯০০টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
এ দিকে সিন্দুর্না চরে কৃষক এরশাদ হোসেন বলেন, মঙ্গার দিনে এ ধানটি কৃষকের ঘরে আনন্দ বয়ে এনেছে। ধানের ফলন ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে ধান ফলেছে ১২ থেকে ১৪ মণ। বাজারে দামও ভালো। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে খড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি বিঘা জমি থেকে খর বিক্রি করে পেয়েছি ২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, দিন দিন কৃষক আগাম জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আমরা আগাম জাতের ধান উৎপাদনে কৃষককে বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। আগাম জাতের ধান চাষ হওয়ায় বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আগাম জাতের ধান বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ হয়। ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে এই ধান কেটে ঘরে তোলা যায়।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।