ঢাকাMonday , 8 April 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লক্ষ্মীপুরে সুদের টাকার জন্য বসতভিটা কেড়ে নিল সুদখোর জাকির

Link Copied!

মুহাম্মদ নোমান ছিদ্দীকী, লক্ষীপুর প্রতিনিধি: লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা ৯নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুদ ব্যবসায়ী জাকির সুদের টাকার জন্য বসতঘর তালা মেরে পরিবার ও ছেলে সন্তানদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
জাকির লক্ষীপুর থেকে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে আমার বসত ঘর জোর পূর্বক রেজষ্ট্ররী করে আমার ব্যবহত গাড়ী এবং তিনটি ব্ল্যাংক চেইক নিয়ে যায় এবং ঘরে থাকা পল্লী বিদ্যুৎতের ২৫/৩০ লক্ষ টাকা মালামাল লুটে নেয় ।
জাকির ও তার বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার সন্তান কে হত্যার হুমকী ধামকী দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্তায় ভুগিতেছি।
সোমবার সকাল ১০টায় লক্ষীপুর পৌর শহরের একটি দৈনিক প্রত্রিকায় অফিসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা ৩নং চরলরেঞ্চ ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগি মোহাম্মদ আব্দুল কাদের।
আব্দুল কাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কমলনগর উপজেলা ৩নং চরলরেঞ্চ ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডের সরোজমিনে গেলে কাদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম প্রতিবেদককে জানান, পাশবর্তী নুর মোহাম্মদের ছেলে জাকির আমাকে ও আমার ছেলেকে ঘর থেকে জোর করে বের করে দিয়ে ঘরের কেছি গেইটে তালা মেরে দেয়। ঘরের ভিতরে ও বাহিরে থাকা বিদ্যুৎতের কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায় জাকির ও ইসমাঈল গংরা।
অভিযোগকারী আব্দুল কাদের প্রতিদেবককে জানান, ২০১৫ সালে জাকিরের থেকে ১০ লক্ষ টাকা ধার নেয় কাদের। কথা ছিল ২% হারে সুদ হিসেবে বছরে যা আসে তাসহ নগদে কিছু টাকা পরিশোধ করিবো। এই ছাড়াও একটি পিকাপ গাড়ী ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে জাকির ও আমি ক্রয় করি। পরবর্তীতে জাকির পুরো গাড়ী আমাকে দিয়ে দেয়।
আগের সুদ সহ ১০ লক্ষ টাকা এবং গাড়ীর ৬ লক্ষ টাকা, সর্বমোট ১৬ লক্ষ টাকা পাওনা হয় জাকির। সুদসহ ১৬ লক্ষ টাকার হিসাব মতে সুদ ও আসলে ১৩ লক্ষ টাকা জাকিরকে পরিশোধ করা হয়। বাকী টাকা নিয়ে লক্ষীপুরে কয়েকটি স্পটে বৈঠক মিলিত হইলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, বাকী টাকা পরিশোধ করিলে আমার বাড়ী ও গাড়ী ফেরত দিবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত জাকির মেনে নিয়ে পরবর্তীতে তা প্রত্যাক্ষান করে উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকী ধামকী দেয়।
এসময় আব্দুল কাদের আরো বলেন জীবনের নিরাপত্তা ছেড়ে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে লক্ষীপুর পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবগত করি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ইমান আলী, ইউছুফ আলী, করিম, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, নিজামসহ এলাকার অনেক লোকজন জানান, রাজনৈতিকের সাথে জড়িত থাকা সে-সুবাধে গ্রামের সহজ-সরল লোকদের ভয় দেখিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে ওই এলাকার সুদের ব্যবসায় করে সাধারন মানুষদেকে বসতভিটা কেড়েঁ নেয় জাকির। এই ভাবে হয়েছে অটল ধন-সম্পদ, আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কারো কথার কোন দাম দেন না। কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টো তাদের নামে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন মামলার ভয় দেখান বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
জাকিরের অবৈধ সম্পদ অর্জন, বাড়ীর জমি দখলে রাখা সহ বিভিন্ন অভিযোগে দুর্নীতিদমন কমিশনাকে (দুদক) অনুসন্ধান করার জন্য অনুরোধ করেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জাকিরের বাড়ীতে গিয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে সাংবাদিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় সুদ ব্যবসায়ী জাকির। এসময় জাকিরের বাড়ীতে পল্লী বিদ্যুৎতের মালামাল পাওয়া যায়।
লক্ষীপুর পুলিশ সুপার মহোদয় কার্যলয়ের স্মারক নং-১৩১৫/ ২য়,তাং-১৫/০৮/২০১৮ ইং অভিযোগের প্রতিবেদন প্রদান করেন লক্ষীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই(নিরস্ত্র) মোঃ এহ্তেশামুল হক, তিনি অভিযোগকারীকে বিজ্ঞ আদালত, থানা অথবা আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার শরনাপন্ন হইয়া আইনগত ব্যবস্হা গ্রহনের পরামর্শ প্রদান করেন

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।