ঢাকাMonday , 27 May 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মোংলাসহ আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে হাহাকার বিরাজ করছে। 

Link Copied!

মোঃহাফিজুর রহমান, মোংলা-
জনসাধারনের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ এর উদ্ধোধন করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র, জনাব আলহাজ্ব মোঃ জুলফিকার আলী।

মাননীয় উপ-মন্ত্রী, পরিবেশ বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের একান্ত প্রচেষ্ঠায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে মোংলা পোর্ট পৌর এলাকার বর্তমান বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধানের জন্য ভ্রাম্যমান ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সরবরাহ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর  উন্নতমানের ডিস্যালাইনেশন ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে আজ সকাল ১১:০০ ঘটিকার সময় তালুকদার আব্দুল খালের সড়কের এ ফোর বিল্ডিং এর সামনে হতে ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ এর উদ্ধোধন করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র, জনাব আলহাজ্ব মোঃ জুলফিকার আলী। প্রতি ঘন্টায় উক্ত প্লান্টের মাধ্যমে ৬০০ লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে।  বর্তমানের যতদিন পৌর এলাকায় যে সকল স্থানে  খাবার পানির সংকট আছে উক্ত প্লান্টের মাধ্যমে উক্ত স্থান সমূহে বিশুদ্ধ খাবর পানি সরবরাহ করা হবে।

লবণ আবহাওয়া অধ্যুষিত মোংলাসহ আশপাশের এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে হাহাকার বিরাজ করছে। শহরের পৌরসভায় পানিশোধন ও সরবরাহ কেন্দ্রের পুকুরের পানি তলানিতে ঠেকেছে। গ্রামাঞ্চলের পুকুরগুলোও প্রায় শুকিয়ে গেছে। বৃষ্টির দেখা নেই। এ অবস্থায় সুপেয় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে এ এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। পৌরবাসীর অভিযোগ, পানি শোধনাগার কেন্দ্রে মাছ চাষ, পুকুরের চড়ায় গরু চরানো, সঠিক নিয়মে পুকুর খনন ও সময়মতো নদী থেকে পানি উত্তোলন না করা, অযোগ্য লোক দিয়ে শোধনাগার পরিচালনাসহ নানা অনিয়মের কারণে শহর এলাকায় বিশুদ্ধ পানির এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লবণপানি অধ্যুষিত মোংলা পৌরবাসীর সুপেয় পানির সংকট নিরসনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০৫ সালে পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি উত্তোলন ও সরবরাহের উদ্যোগ নেয়। এ ল্েয পৌরসভার মাছমারা এলাকায় ৮৪ একর জায়গায় পাঁচ লাখ লিটার ধারণমতার একটি উচ্চ জলাধার, ৪৬ কোটি লিটার ধারণমতার একটি পানি শোধন ও সরবরাহ কেন্দ্রের কাজ শুরু করা হয়। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তা পৌর কর্তৃপরে কাছে হস্তান্তর করে। ছয় বছর ধরে পৌর কর্তৃপ পৌর এলাকার ২ হাজার ৫’শ পরিবারকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সকালে ও বিকেলে সুপেয় পানি সরবরাহ করে আসছে। গত মাস থেকে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এ সরবরাহ একেবারেই অপ্রতুল করা হয়েছে। পৌর পানি শোধনাগার কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের বিশাল পুকুরটির তলানিতে সামান্য পানি রয়েছে।
পানি শোধনাগারের পাম্পচালক শাহিন বলেন, পুরাতন পুকুরের কিছু অংশের খননকাজ করায় পানি শুকিয়ে গেছে। তা ছাড়া নদীর পানি এখন অনেক লবণাক্ত। সেই পানি পুকুরে ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
এদিকে পৌর এলাকায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের একটি পুকুরে বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পানি নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে নারী-পুরুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে এক কলস করে পানি সংগ্রহ করেন। কিন্তু সেই পানিও শেষের দিকে। এ ছাড়া পৌর এলাকার হাতেগোনা গুটি কয়েক পুকুরের পানিও শুকিয়ে গেছে। এসব পুকুর থেকে পৌরবাসী নিজস্ব উদ্যোগে কিছুটা হলেও সুপেয় পানি সংগ্রহ করতেন। অপরদিকে পৌর এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন অধিকাংশ পুকুর গত কয়েক বছরে বালি দিয়ে ভরাট করে ফেলায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
শেহালাবুনিয়া এলাকার গৃহবধূ প্রতিমা রানী, মানসী বিশ্বাস ও ফাতেমা বেগম বলেন, পৌরসভার প থেকে কিছু এলাকায় ওপেনট্যাপ দেয়া হয়েছে। তা থেকে পানি আনতে লাইনে দাঁড়াতে হয়, কিন্তু আমাদের পে তা সম্ভব না। তাই এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদ বলেন, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নদীর মিষ্টি পানি সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুকুরে তোলা হয়। কিন্তু এবার পানি তোলার মৌসুমে পুকুরে পর্যাপ্ত পানি ওঠানো হয়নি। তাই এ সংকট দেখা দিয়েছে। পৌর কর্তৃপরে এই শোধনাগার প্রকল্প যারা দেখভাল করছেন, তারা এ বিষয়ে কতটুকু যোগ্য, তা পৌর কর্তৃপই বলতে পারবে। তা ছাড়া পুকুরে চাষকৃত মাছ ধরার পরও কিছু পানি কমে যায়। বিষয়টি পৌর মেয়রকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী বলেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নতুন একটি পুকুর পৌর কর্তৃপরে কাছে খনন না করেই হস্তান্তর করার চেষ্টা করছে এবং পুরোনো পুকুরটি পুরো খনন না করে তড়িঘড়ি করে চালু করার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটু বৃষ্টি হলেই সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।