চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেফতার এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। রোববার এ সংক্রান্ত আদেশ চট্টগ্রাম আদালতে পৌছেছে। তবে এই আদেশ সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে না পৌঁছায় রোববার মুক্তি পাননি ভোলা। |
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, মিতু হত্যা মামলায় ভোলার জামিন চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ মে বিচারপতি শওকত হোসেন ও নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন বলেন, এহতেশামুল হক ওরফে কারাগারে বন্দি আছেন। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জামিনের কাগজপত্র আমাদের কাছে আসেনি। জামিন আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। হত্যাকান্ডের পর তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার আনোয়ার ও ওয়াসিম জবানবন্দিতে বলেছেন, মাহমুদা হত্যার পুরো বিষয়টির সমন্বয় করেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। হত্যাকান্ডে অংশ নেন মুছা, নবী, ওয়াসিম, কালু, রাশেদ, শাহজাহান, আনোয়ারসহ সাত-আটজন। আসামিদের মধ্যে নবী ও রাশেদ গত বছরের ৫ জুলাই ভোরে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আর মুছাকে ২২ জুন বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন, তার স্ত্রী পান্না আক্তার।
তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে বলছে, মুছাকে খোঁজা হচ্ছে। পলাতক রয়েছেন আসামি কালু।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের ২৭ জুন নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলিসহ ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গত বছরের ২৮ জুলাই বাকলিয়া থানার পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
কিন্তু অস্ত্রের উৎস এবং কার নির্দেশে ভোলা সেই অস্ত্র মুছাকে দিয়েছিলেন, তা তদন্তে স্পষ্ট হয়নি। অস্ত্র আইনের মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও মিতু হত্যা মামলায় এখনো অভিযোগপত্র জমা দেয়নি তদন্ত সংস্থা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।