ঢাকাTuesday , 16 August 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি ব্যাটারী পুড়িয়ে সিশা তৈরির কারখানা

Link Copied!

 

ফুজাইল মোহাম্মদ আলবেরুনী, রাণীনগর প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে জমজমাটভাবে চলছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারী পুড়িয়ে সিশা তৈরির কারখানা। এতে ব্যাটারীর পোরা এসিডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পরেছে। এমনকি শিশুরা বমি করতে করতে অসুস্থ্য হয়ে পরছে। গত ৩ আগষ্ট কারখানা বন্ধে অভিযান চালিয়ে ২০হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে সাত দিনের মধ্যে কারখানা অপসারনের নির্দেশ দেয়া হলেও এখনো বন্ধ হয়নি।
জানাগেছে,উপজেলার রাণীনগর-আবাদপুকুর রাস্ত্মার খানপুকুরের পূর্বদিকে মেইন রাস্ত্মার কয়াগাড়ী নামকস্থানে গড়ে ওঠেছে অবৈধ সিশা তৈরির কারখানা। চতুর দিকে টিন দিয়ে ঘিরে মাঝখানে দুইটি চুলা তৈরি করে প্রতি রাতে ২৫০পিসের বেশি পরিমান পুরাতন ব্যাটারী পোরানো হয়। এর পর সকাল হবার আগেই ট্রাকযোগে মালামাল নিয়ে চলে যায়। আশে-পাশের গ্রামের লোকজন জানান,অজস্র অব্যাটারী পোড়ার বিষাক্ত ধোঁয়ার গন্ধে দম ভারী হয়ে ওঠে। শিশু-বয়বৃদ্ধরা শ্বাস নিতেও চরম কষ্ট পায়। পোরা এসিডের ঝাঁঝালো গন্ধে ঘুম পারতে পারেনা এলাকার লোকজন। পাশা-পাশি বিভিন্ন ফল-ফলাদি ও আবাদী ফসলের উপর বিরম্নপ প্রভাব পড়ার কারনে ফসলও হুমকির মূখে পরেছে। স্থানীয়রা জানান,গত প্রায় তিন বছর আগে একই স্থানে সিশা তৈরির কারখানা গড়ে ওঠলে স্থানীয় লোকজনের চাপে এবং প্রশাসনের হস্ত্মক্ষপে কারখানা উঠে যায়। এর পর নতুন করে এখানে জায়গা ভারা নিয়ে প্রায় এক মাস হলো কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। অবৈধ সিশা তৈরির কারখানার খবরে গত ৩আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ২০হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং সাত দিনের মধ্যে কারখানা অপসারনের নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযানে আদালতের দেয়া সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত্ম কারখানা অপসারণ করা হয়নি। বরং কারখানায় আরো জমজমাটভাবে ব্যাটারী পুড়িয়ে সিশা তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানার পার্শ্ববতি আমগ্রামের গ্রাম প্রধান ফিরোজ হোসেন বলেন,বিষাক্ত ধোঁয়ার প্রভাবে গা চুলকানীসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শিশুরা বমি করতে করতে অসুস্থ্য হয়ে পরছে। এছাড়া গাছ-পালাও মরতে শুরম্ন করেছে। এতে এলাকার লোকজন ক্ষিোোপ্ত হয়ে ওঠেছে। কারখানা বন্ধে দ্রম্নত পদ ক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশিস্নষ্ঠদের হস্ত্ম ক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন,প্রতি রাতে ব্যাটারী পুড়িয়ে প্রায় চার টনের মতো সিশা বের করা হয়। তিনি বলেন,ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে কারকানা অপসারনের জন্য সময় দিয়েছিল কিন্তু মহাজনের নির্দেশে কারখানা বন্ধ না করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। কারখানা অপসারন করা হবে কি না তা বলতে পারছিনা বলে জানান তিনি।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন,কারখানা বন্ধে অভিযান চালিয়ে ২০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কারখানার মালিকের অনুরোধে অপসারণ করতে সময় দেয়া হয়েছিল। এর পরেও যেহেতু অপসারন করেনি সেহেতু দ্রম্নত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।