ঢাকাTuesday , 25 September 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাম্পার ফলনের আশাবাদী বোরহানউদ্দিনের আমন চাষীরা

Link Copied!

জেএম মমিন ভোলা: উপকূলীয় জেলা ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় চলতি বছরে আমন ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক। ভালো ফলনের জন্য এ বছরে সময় মত বৃষ্টি, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের সার প্রাপ্তিতে সহজলভ্যতা,লোগো পদ্ধতিতে চারা রোপণ,নিদিষ্ট বয়সের এবং সঠিক সময়ে চারা রোপন করা সহ একাধিক কারণে এ উপজেলায়  এবার আমনের বাম্পার  ফলন হবে।এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন এলাকার কৃষক-কৃষাণি ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,  এবার  উপজেলায় ১৩ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে উফশী আমন এবং ৫হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে স্থানীয় আমন আবাদ ব হয়েছে।  যার মধ্যে ব্রি ধান ৭৬ আবাদ হয়েছে ৮০ হেক্টর আর ৭৭ জাতের আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। 
উপজেলার ৯টি টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার কৃষকদের সাথে আলাপ  করলে পৌরসভার কৃষক নবীন তালুকদার,লালু হাওলাদার,গংগাপুর ইউনিয়নের শাহজাহান বর্দ্দার, মোশারফ হাওলাদার, কুতুবা ইউনিয়েনর কৃষাণী  শীলা বেগম, মো:শরীফ,বড়মানিকা ইউনিয়নের রেশাদ আলী,আলমগীর,রত্তন, সাচড়া ইউনিয়নের ফয়সাল মৃধা,নকিব,দেউলা ইউনিয়নের শাহে আলম, জাহাংগীর ,হাসাননগরের হারুন ,জাকির,কাচিয়ার উৎপল কুমার মজুমদার,প্রান কৃস্ঞ,টবগীর কাঞ্চন মাল ,মোফাজ্জল মাল,এবং পক্ষিয়া ইউনিয়নের যমুনা রানী ও মিজানুর রহমান জানান,বোরহানউদ্দিন একটি উপকূলীয় এলাকা।তাই কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার আমরা অনেকই ব্রি ধান-৭৬,৭৭রোপন করি।তারা বলেন,গত বছর হেক্টর প্রতি এটার উৎপাদন ছিল সাড়ে ৫টন এবার ৬টন হবে বলে আমরা আশা করছি । তাছাড়া এটা মোটা চাল এবং জোয়ার-ভাটা পরিবেশের ধান।
সোমবার কুতুবা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে কৃষক সোনা মিয়ার ছেলে  অহিদ মিয়া জানান,তিনি এ     বছর আড়াই একর জমিতে ব্রি-৭৬ এবং দেড় একর জমিতে ব্রি-৭৭জাতের ধান চাষ করেন।তিনি বলেন এবার কড়া প্রতি আড়াই মন ধান পাওয়া যাবে।অর্থাৎ  হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ৬টনের বেশী। একই রকম কথা বললেন ওই এলাকার কৃষক দুলাল,জয়নাল,মালেক,নুরু। কৃষকরা আরো জানান,আমন ধানের মধ্যে সাধারণত বিআর-১১,২২,২৩ ব্রি ধান ৩০,৩১,৩২,৩৩,৩৪.৩৯,৪০,৪১,৪৪,৪৬,৫১,৫২, এবং স্থানীয় জাতের রাজা সাইল,কাজল সাইল,মধু মালতি,কালাগোড়া,কালিজিড়া চাষ বেশী হয়।বড় মানিকার কৃষক অহিদ মিয়া জানান,বর্তমানে ধানের ফুল আসার স্তরে রয়েছে।সামনের দূর্গা পূজার সময় যদি ঝড় না হয় তরে ভালো ফলন হবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো:ফিরোজ আলম জানায়,বর্তমান সরকারের আমলে যথা সময়ে পর্যাপ্ত সার সুবিদা রয়েছে।কৃষকদের মাঝে আরো বেশী আলোক ফাঁদ, পার্সিং, লাইনিংসহ বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি অনুসরণ নিশ্চিত করতে পারলে গত বছরের তুলনায় ফলন ভালো হবে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ওমর ফারুক  বলেন, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ পাচিং ও সার ব্যবস্থাপনা ভাল থাকায় বলা যায়, এবার গত বছরের তুলনায় ফসল উৎপাদন ভাল হবে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় আলোক ফাঁদ, পার্সিং ও লাইনিং পদ্ধতি কৃষকরা অনুসরণ করাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ফলন হবে বলে আশা করছি ৷

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।