এম সাঈদ।।
শার্শার বাগআঁচড়ায় যৌতুকের দাবিতে শাহানারা খাতুন শানু (২৩) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে স্বামী ও তার শশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসহায় নির্যাতিত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শানু ন্যায় বিচারের আসাই পুলিশ ও সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।এ ব্যাপারে শুক্রবার সকালে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানাগেছে, শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল আমতলা গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে শাহানারা খাতুন শানুর সাথে একই গ্রামের মোসলেম গাজীর ছেলে বাবু গাজীর ৮/৯ মাস আগে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে স্বামী বাবু গাজী ও তার বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে ব্যাপক নির্যাতন করতে থাকে।
প্রায়ই বাবু গাজীর চাহিদামত যৌতুক মেটাতে হয় শানুর পরিবারকে।
ইতিমধ্যে মেয়ের সুখের আসাই শানুর পরিবার সহায়সম্বল বেচে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছে বাবু গাজীকে। তারপরও সে শানুর সাথে অমানুষিক ব্যবহার করতে থাকে এবং আরও টাকা দাবি করে। সম্প্রতি যৌতুক না পেয়ে বাবু গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে শানুর উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেছে। এরই মধ্যে শানু ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা ব্যাপক ভাবে বাড়তে থাকে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ শাহানারা খাতুন শানু জানান, পর্যাপ্ত পরিমানে দান সামগ্রী ও ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও আমার উপর যৌতুকের জন্য ব্যাপক নির্যাতন করে।বাবু গাজী ও তার মা আমার শাশুড়ি জোহরা আমাকে যখন মারধর করে তখন রক্ত রক্ত হয়ে যায়। আমি এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার পিতামাতা খুব দরিদ্র।এই অবস্থায় আমি এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। ন্যায় বিচারের আসাই বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে লিখিত ভাবে অবহতি করেছি।এলাকার মাতব্বরদের দ্বারেদ্বারেও যাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে বাগআঁচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল বলেন, মেয়েটি খুব অসহায়।তার শশুর বাড়ির লোকেরা তার সাথে যে অমানুষিক ব্যবহার করছে সেটা মোটেই শোভনীয় নয়। তারা মেয়েটির জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এর ন্যায় বিচার হওয়া অতি প্রয়োজন।
এব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক সুকদেব কুমার রায় বলেন, বিষয়টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেকে খিলিত ভাবে অবহতি করেছে।এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ভাবে ব্যবস্থ গ্রহন করা হবে।