গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতির পিতার আহ্বানে পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই থেকে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ভালবেসে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি মিলনায়তন নির্মাণের জন্য ১৯৯৮ সালে নিজের ক্রয়কৃত ১৬ শতক জমি এবং নিজগ্রাম পুখরিয়ায় আওয়ামীলীগ অফিস তৈরির জন্য নিজে এবং চাচাতো ভাই বাদশা মোল্লা মিলে ২০০১ সালে ২ শতক জমি দান করেন। এরকম দানের এক অনন্য নজির গড়েছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুখরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মোল্লা। তিনি যে স্বপ্ন নিয়ে জমি দান করেছিলেন, তাঁর সে স্বপ্ন পূরণ না হতেই ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে জমির দলিল তুলে দেয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
পরিবারের পক্ষে সহধর্মিনী রোকেয়া রহমান ও একমাত্র পুত্র রাকিবুর রহমান রানা জানান, জীবদ্দশায় অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর এই যৎসামান্য জমির দলিল দু’টি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে পৌঁছাতে সক্ষম হননি। প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন তিনি। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর দানকৃত দলিল দু’টি প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করে তাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাই।
জমি দানের বিষয়ে গোপালগঞ্জের পাইককান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার মিটু জানান, লুৎফর রহমান মোল্লার মৃত্যুর পর কেউই ওই জমিতে কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা ওই স্থানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণের চেষ্টা করব।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ্বাস বলেন, লুৎফর রহমান মোল্লাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগ অন্তঃপ্রাণ। বঙ্গমাতা শহীদ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি মিলনায়তন নির্মাণের জন্য যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি জমি দান করেছিলেন। সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা অবশ্যই করা হবে।
