ঢাকাThursday , 11 April 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পীরগঞ্জে মাটির হাড়ি পাতিলের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী সাধনা রানী

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:রংপুরের পীরগঞ্জে নিজের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে নিয়ে আসতে সাধনা রানীর মাটির তৈরী হাড়ি পাতিল স্বামী রবিন পাল বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন। পীরগঞ্জ উপজেলার প্রজাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হতদরিদ্র সাধনা রানী এক ছেলে আর দুই মেয়ে ও স্বামীসহ এখন ভালই রয়েছেন। এক সময় সংসারে অভাব আর অনাটন লেগেই থাকতো। সেই জীবনযুদ্ধে বিজয়ী সাধনা রানীর পরিবারকে আর পেছনে তাকাতে হয় না। নিজেই মাটি দিয়ে তৈরী হাড়ি পাতিলের ব্যবসা করে ৫ সদস্যের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে নিয়ে এসেছে সাধনা রানী। কয়েক বছর আগে স্বামী রবিন পাল অভারের তাড়নায় শ্রমিকের কাজ করতো। কিন্তু সেই আয় দিয়ে তাদের সংসার চলতো না। রবিন পালের এত বড় সংসার আর ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সংসারে স্বচ্ছলতা কি ভাবে নিয়ে আসা যায়, স্বামীকে নিয়ে দু’চিন্তায় পরে সাধনা রানী। তবে নিজের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছা শক্তি ছিল সাধনা রানী ও তার স্বামী রবিন পালের। অর্থের অভাবে তাদের স্বপ্ন, স্বপ্নই থেকে যায়। এক দিন স্বামী স্ত্রী পরামর্শ করে বাংলা-জার্মান সম্প্রীতির (বিজিএস) রংপুরের পীরগঞ্জ শাখার ক্রেডিট অফিসার শফিকুল ইসলামের সহায়তায় সাধনা রানী নিজ গ্রামে কনা মহিলা কেন্দ্রের সদস্য হয়ে প্রথমে বিশ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে শুরু করেন মাটির তৈরী হাড়ি পাতিলের ব্যবসা। আর এতে বদলে যায় সাধনা রানীর সংসারে ভাগ্যের চাকা। এ ব্যবসা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনো রকম সংসার চালাতে থাকে। পরে দ্বিতীয় দফায় ঋণ গ্রহণ করে মাটির হাড়ি পাতিলের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে ব্যবসা সম্প্রসারিত করেন। বর্তমানে তার ব্যবসা থেকে দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকা আয় করতে পারে। এখন তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে স্কুলে যায়। সাধনা রানী সাহস আর ইচ্ছা শক্তির বলে স্বামী রবিন পালকে নিয়ে দারিদ্রতাকে জয় করে সংসারে এনেছে স্বচ্ছলতা। স্বামী রবিন পাল জানান, তার ছিল অভাবের সংসার। স্ত্রী সাধনা রানী মাটির হাড়ি পাতিল নিজেই তৈরি করে, আর আমি গ্রাম-গঞ্জে সে গুলো ফেরি করে বিক্রয় করায় এখন সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। আমাদের আয়ের পথ সুগম করায় বাংলা-র্জামান সম্প্রতির (বিজিএস) এর নিকট আমরা চিরকৃতজ্ঞ। সাধনা রানীর স্বপ্ন এখন মাটির হাড়ি পাতিলের ব্যবসা করে অনেক বড় হতে চায় এবং তার পরিবারের অভাব দুর করতে চায়। পাশাপাশি সে পীরগঞ্জ পৌর বাজারে স্থায়ী ভাবে মাটির হাড়ি পাতিলের ব্যবসা করার জন্য দোকান নিয়ে এ ব্যবসা থেকে সাফল্য অর্জন করতে চায়।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।