দায়ের হয়েছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন। এর আগে ওইদিন রাত ৯টার দিকে নড়াইল শহরের এস এম সুলতান স্মৃতিসংগ্রহশালার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি নড়াইলের চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামে এবং নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভূক্তভোগীর স্বজনেরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে অনার্স পড়ুয়া মেয়েকে উদ্ধারের পর কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে সে। তার মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। স্বাভাবিক কথা বলতে পারছে না।
ভূক্তভোগী মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে বাড়ি থেকে নড়াইল শহরে প্রাইভেট পড়তে আসে। দুপুরে বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ওইদিন (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়েটির নতুন ফোন নাম্বর (০১৬০৮-৪৭৬৪৬০) থেকে তার বাবার নাম্বারে ফোন করে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ দেখা যায়নি। এছাড়া তাকে ধর্ষণ বা শারীরিক ভাবে অন্য কোনো ক্ষতি করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর থানায় শনিবার রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।