ঢাকাTuesday , 20 April 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় পানির ও জলের  হাহাকার 

Link Copied!

উজ্জ্বল রায় (নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি:
নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় পানির ও জলের
স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানির জন্য রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়েছে। রোজা ও করোনাকালে পানির জন্য অনেক কষ্ট বেড়েছে। এছাড়া বোরো ধানে সেচ দিতেও কৃষকরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিকল্পভাবে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করছেন।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। বৃষ্টি হলেই সমস্যার সমাধান ঘটবে। পানির স্তর এলাকা ভেদে ৩০ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে গিয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলার হবখাল, মাইজপাড়া, শাহাবাদ, চন্ডিবরপুর, আউড়িয়া, তুলারামপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউপিতে এবং লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর, নোয়াগ্রাম, নলদী, লাহুড়িয়া, শালনগর, জয়পুর, লোহাগড়া, লক্ষ্মীপাশা, ইতনা, কোটাকোল এবং কালিয়া উপজেলার উচু এলাকায় টিউবওয়েলে পানি পাচ্ছে না।
বিশেষ করে নদী ও খালের আশপাশের এলাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির বড়ই অভাব দেখা দিয়েছে। অনেকেই নদী খাল থেকে পানি তুলে ব্যবহার করছে। অধিকাংশ পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। আর কিছু কিছু পুকুরে সামান্য পানি থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের বাড়ীভাঙ্গা গ্রামের রুবেল মোল্যা বলেন, ‘ আমাদের গ্রামের কমপক্ষে ৬০টি টিউবয়েলে গত দুই মাস ধরে পানি উঠছে না। গ্রামের দুটি মসজিদে মুসল্লীরা ওষু করার জন্য পানি পাচ্ছেন না। অনেকেই নবগঙ্গা নদীতে গিয়ে গোসল করছে। নদী থেকে পানি এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে কেউ কেউ বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে তারা পাইপ বসিয়ে কোন রকম খাবার পানি সংগ্রহ করছে। গ্রামের কয়েকটি টিউবওয়েলে তারা পাইপ বসালেও সেখানে লাইন দিয়ে পানি নিতে হচ্ছে। এই করোনার সময় এভাবে পানি সংগ্রহ করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।
নলদী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের সোহেল রানা, গোপালপুর গ্রামের সাইফুর রহমান, কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলাগ্রামের সৈকতুর রহমান,  নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের হান্দলা গ্রামের আল আমিন, নোয়াগ্রামের অ্যাডভোকেট কাজী মেজবাহুর রহমান সুমন, কোটাকোল ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল চৌধুরী, লাহুড়িয়ার হাফিজুর রহমান, নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার, ফেদী গ্রামের রেজাউল মল্লিক, হবখালীর সাজিদ মোল্যাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, এসব এলাকায় চৈত্র মাস থেকে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বর্ষার পর থেকে আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির স্তর অনেক নীচে নেমে গেছে।
বিভিন্ন এলাকায় বিকল্প হিসেবে তারা পাইপ বসিয়ে কিছুটা পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে। তবে সেসব টিউবওয়েল থেকে পানি নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ছে। করোনা আতঙ্ক নিয়েই এসব টিউবওয়েলে লাইন দিচ্ছে পানি নেয়ার জন্য। তাছাড়া রোজার সময় সাহরী ও ইফতারে পানি সংকটে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে।
এদিকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক এলাকার বোরো চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। গত এক মাসের অধিক সময়ে উচু এলাকার বোরো চাষীরা ধানে ঠিকমতো পানি দিতে পারছেন না। অনেকেই বিকল্প পন্থায় নদী ও খাল থেকে পানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নড়াইলের সহকারী প্রকৌশলী (সেচ) মো. রকিবুল হোসেন বলেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে বোরো চাষ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সে কারনে নদী ও খালের পানি দিয়ে সেচকাজ চালানোর জন্য কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। বিএডিসির অধীনে নড়াইল জেলায় ২১টি পাওয়ার পাম্পের আওতায় ৪৪৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এসব জমিতে পানি সেচের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। কৃষকরা আগ্রহ প্রকাশ করলে নদী বা খালের পানি দিয়ে সেচ প্রকল্প চালুর ক্ষেত্রে বিএডিসি সহযোগিতা করবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী এম.এম. আবু সালেহ বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি বেশি উত্তোলনের কারনে পানির স্তর নীচে নিমে যাচ্ছে। যার কারনে শুষ্ক মৌসুমে অনেক এলাকায় টিউবওয়েলে পানি পাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি হলে সমস্যা কেটে যাবে। আমরা জনগনের মাঝে সচেনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে  সার্ভিস ওয়াটার অর্থাৎ নদী ও খালের পানি এবং বৃষ্টির পানি ব্যবহারের জন্য। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ভুগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে নড়াইলের চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর পানি কিভাবে ব্যবহার বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে গবেষণা চলছে।
নড়াইলের বিভিন্ন এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানির জন্য রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়েছে। রোজা ও করোনাকালে পানির জন্য অনেক কষ্ট বেড়েছে। এছাড়া বোরো ধানে সেচ দিতেও কৃষকরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিকল্পভাবে পানি উত্তোলনের চেষ্টা করছেন।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। বৃষ্টি হলেই সমস্যার সমাধান ঘটবে। পানির স্তর এলাকা ভেদে ৩০ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে গিয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলার হবখাল, মাইজপাড়া, শাহাবাদ, চন্ডিবরপুর, আউড়িয়া, তুলারামপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউপিতে এবং লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর, নোয়াগ্রাম, নলদী, লাহুড়িয়া, শালনগর, জয়পুর, লোহাগড়া, লক্ষ্মীপাশা, ইতনা, কোটাকোল এবং কালিয়া উপজেলার উচু এলাকায় টিউবওয়েলে পানি পাচ্ছে না।
বিশেষ করে নদী ও খালের আশপাশের এলাকায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির বড়ই অভাব দেখা দিয়েছে। অনেকেই নদী খাল থেকে পানি তুলে ব্যবহার করছে। অধিকাংশ পুকুরগুলো শুকিয়ে গেছে। আর কিছু কিছু পুকুরে সামান্য পানি থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের বাড়ীভাঙ্গা গ্রামের রুবেল মোল্যা বলেন, ‘ আমাদের গ্রামের কমপক্ষে ৬০টি টিউবয়েলে গত দুই মাস ধরে পানি উঠছে না। গ্রামের দুটি মসজিদে মুসল্লীরা ওষু করার জন্য পানি পাচ্ছেন না। অনেকেই নবগঙ্গা নদীতে গিয়ে গোসল করছে। নদী থেকে পানি এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে কেউ কেউ বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে তারা পাইপ বসিয়ে কোন রকম খাবার পানি সংগ্রহ করছে। গ্রামের কয়েকটি টিউবওয়েলে তারা পাইপ বসালেও সেখানে লাইন দিয়ে পানি নিতে হচ্ছে। এই করোনার সময় এভাবে পানি সংগ্রহ করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।
নলদী ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের সোহেল রানা, গোপালপুর গ্রামের সাইফুর রহমান, কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলাগ্রামের সৈকতুর রহমান,  নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের হান্দলা গ্রামের আল আমিন, নোয়াগ্রামের অ্যাডভোকেট কাজী মেজবাহুর রহমান সুমন, কোটাকোল ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল চৌধুরী, লাহুড়িয়ার হাফিজুর রহমান, নড়াইল সদর উপজেলার চালিতাতলা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল বাশার, ফেদী গ্রামের রেজাউল মল্লিক, হবখালীর সাজিদ মোল্যাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, এসব এলাকায় চৈত্র মাস থেকে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বর্ষার পর থেকে আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির স্তর অনেক নীচে নেমে গেছে।
বিভিন্ন এলাকায় বিকল্প হিসেবে তারা পাইপ বসিয়ে কিছুটা পানি তোলা সম্ভব হচ্ছে। তবে সেসব টিউবওয়েল থেকে পানি নেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ছে। করোনা আতঙ্ক নিয়েই এসব টিউবওয়েলে লাইন দিচ্ছে পানি নেয়ার জন্য। তাছাড়া রোজার সময় সাহরী ও ইফতারে পানি সংকটে রোজাদারদের কষ্ট বেড়ে গেছে।
এদিকে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক এলাকার বোরো চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। গত এক মাসের অধিক সময়ে উচু এলাকার বোরো চাষীরা ধানে ঠিকমতো পানি দিতে পারছেন না। অনেকেই বিকল্প পন্থায় নদী ও খাল থেকে পানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) নড়াইলের সহকারী প্রকৌশলী (সেচ) মো. রকিবুল হোসেন বলেন, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে বোরো চাষ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সে কারনে নদী ও খালের পানি দিয়ে সেচকাজ চালানোর জন্য কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। বিএডিসির অধীনে নড়াইল জেলায় ২১টি পাওয়ার পাম্পের আওতায় ৪৪৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এসব জমিতে পানি সেচের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। কৃষকরা আগ্রহ প্রকাশ করলে নদী বা খালের পানি দিয়ে সেচ প্রকল্প চালুর ক্ষেত্রে বিএডিসি সহযোগিতা করবে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী এম.এম. আবু সালেহ বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি বেশি উত্তোলনের কারনে পানির স্তর নীচে নিমে যাচ্ছে। যার কারনে শুষ্ক মৌসুমে অনেক এলাকায় টিউবওয়েলে পানি পাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি হলে সমস্যা কেটে যাবে। আমরা জনগনের মাঝে সচেনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে  সার্ভিস ওয়াটার অর্থাৎ নদী ও খালের পানি এবং বৃষ্টির পানি ব্যবহারের জন্য। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ভুগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে নড়াইলের চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর পানি কিভাবে ব্যবহার বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে গবেষণা চলছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।