ঢাকাThursday , 21 November 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নড়াইলের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার এমপি মাশরাফি প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে এখন গোলাপি ইতিহাসে

Link Copied!

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ (২১, নভেম্বর)  নড়াইল এক্সপ্রেসের কাছে আমাদের নড়াইল জেলার সকল মানুষের প্রত্যাশা আকাশছোয়া। সেই প্রত্যাশা থেকে অনেকেই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে অনুরোধ করেছেন নড়াইল জেলাকে একটি উন্নয়ন সেক্ষেত্রে মাশরাফি জেলাবাসীর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার, কলকাতার ইডেনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী খেলোয়াড় হিসেবে নয়; বরং প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে গোলাপি ইতিহাসে মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল জেলাবাসীর জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মাত্র ১১ মাস সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন: ইডেনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মাশরাফি বিন মর্তুজা সপরিবারে কলকাতায় যাচ্ছেন মাশরাফি। থাকবেন টেস্টের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন পর্যন্ত। ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি সরে না গেলেও রাজনীতির ময়দানেই এখন দিনের অনেকটা সময় কাটে মাশরাফির। মিরপুরে একটি অফিসও রয়েছে মাশরাফির। তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয়; বরং প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে গোলাপি ইতিহাসে সামিল হতে কলকাতায় যাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কেবল ক্রিকেটারই নন, মাশরাফি একজন সাংসদও। নিজের জন্মস্থান নড়াইল থেকে নির্বাচিত হন তিনি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতা সাংসদের জার্সি পড়েই ইডেনের মাটিতে পা রাখবেন। এমনিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ টিমের সব ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইডেনে। যে টিমে মাশরাফি ছিলেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যে প্রতিনিধি দল আসছে, তাতে রাজনীতি জগতের অনেকেই আসছেন। মাশরাফি তাদেরই এক জন। জানা যায়, মাশরাফিকে নাকি গোলাপি টেস্টে বাংলায় ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তবে অতিথি ধারাভাষ্যকার হিসেবে ইডেনের স্টুডিয়োতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ দলের সফল অধিনায়ককে। ২২ নভেম্বর ইডেনে প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ওই দিন কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টা বাজিয়ে গোলাটি টেস্টের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া ওই ম্যাচকে ঘিরে আরও নানামুখী আয়োজন হাতে নিয়েছে আয়োজক দেশটি। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, এরআগে, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মাত্র ১১ মাস সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। নড়াইল এক্সপ্রেসের কাছে আমাদের নড়াইল জেলার সকল মানুষের প্রত্যাশা আকাশছোয়া। সেই প্রত্যাশা থেকে অনেকেই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে অনুরোধ করেছেন নড়াইল জেলাকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি)এর অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য। আজ সবার আগে সেই খুশির খবরটি দিতে চাই!মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতেই জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনায় গোটা নড়াইল জেলাকে ডিপিপি’র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মোঃ শরীফ হোসেন,নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি সদরদপ্তর, ঢাকাকে নড়াইল জেলার পিডি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এজন্য সর্বপ্রথম অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।ধন্যবাদ জানাই, মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জনাব তাজুল ইসলাম এম.পিকে,ধন্যবাদ জানাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়সহ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলকে। ডিপিপি’তে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে এখন আর আমাদের রাস্তা,হাট-বাজার,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এসব নিয়ে আর ভাবতে হবে না।সরকারিভাবে নিয়মিত জেলার সকল রাস্তা সংশ্লিষ্টদের সরাসরি পর্যবেক্ষণে থাকবে ও রাস্তা নির্মাণ -পুনঃনির্মাণ-সংস্কার কাজ যখনই প্রয়োজন তা বাস্তবায়িত হবে। রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে কে কবে এটি সংস্কারের জন্য আবেদন করবেন তার জন্য আর আমাদের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তি সহ্য করা লাগবে না। ডিপিপি’র অন্তর্ভুক্তি ও পিডি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।খুব দ্রুত সময়েই বাকী দাপ্তরিক কাজ শেষ হলে আমরা এর সুফল ভোগ করতে যাচ্ছি। আমরা অনেকেই দৃশ্যমান উন্নয়ন বলতে বিশেষত সড়কপথের উন্নয়নকে বুঝে থাকি।এই দৃশ্যমান উন্নয়ন এখন আর স্বপ্ন নয়,বাস্তবতা।রাস্তাঘাটের বেহাল দশা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে,মাশরাফী এমপি হলেন এখনো কেন রাস্তার এই অবস্থা!আপনারা অনেকেই হয়তো ভাবছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এসবের খোজ হয়তো জানেন না। তাদের সকলের অবগতির জন্য বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে,মাননীয় সংসদ সদস্য সকল বিষয়ে অবগত আছেন আর তিনি অবগত আছেন বিধায় একটি ডিপিপি’তে অন্তর্ভুক্তির জন্য এই কয়মাস তিনি অপেক্ষা করছিলেন।যাতে করে একটি রাস্তা নষ্ট হলে মন্ত্রণালয়ে দৌড়াদৌড়ি করে সেটির সংস্কার কাজ পাস করে আনলেও পরোক্ষণে আবার আরেকটি রাস্তা নষ্ট হয়ে পড়বে তখন সেটি নিয়ে আবার সবার ভোগান্তি ও দৌড়াদৌড়ি করতে হবে।এমনটি হলে উন্নয়নের গতি কমে যায়। তাই মাননীয় সাংসদ এটির টেকসই ও আজীবনের সমাধানের জন্য এই ১১ মাস অপেক্ষা করেছেন। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজে বলেছেন যে,আমি যদি আর কখনো সংসদ সদস্য নাও হই,তবুও নড়াইলবাসীর আর কষ্ট থাকবে না।যখন ইতিমধ্যে পাস হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে আর এই ডিপিপি’র কাজ শুরু হবে তখন নড়াইল হবে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নত জেলা।নড়াইলবাসীর অর্থনৈতিক মুক্তি আর উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা তথা উন্নত সামাজিক অবকাঠামো গড়ে উঠবে। নড়াইলের মানুষকে তখন আর পিছে তাকাতে হবে না। নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করলেও মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা যে গোটা নড়াইল জেলাকে নিয়ে ভাবেন, তা তিনি প্রমাণ করলেন আবারও।এই ডিপিপি নড়াইল-২ আসনে শুধু নয়,গোটা নড়াইল জেলায় বাস্তবায়িত হবে।নড়াইলবাসীর এই শ্রেষ্ঠ সম্পদ, নড়াইলের সকল মানুষের ভালবাসা পান সবসময়, তিনিও নড়াইলের মানুষকে পৃথকভাবে কখনো দেখেন না, সকলকেই সমানভাবে ভালবাসেন। আর একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই,অনেক এলাকায় নতুন যারা দায়িত্ব নেন,তারা কিছুটা হলেও দ্রুত কাজ সেরে উঠতে পারেন,কারণ হয়তো সেই জেলার অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের আবেদন আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে জমা ছিল। তবে দুঃখের বিষয় হলো আমাদের জেলার ক্ষেত্রে এমন নজির একটিও দেখা মিলছে না। অনেক নতুন সংসদ সদস্য হয়তো শূন্য থেকে শুরু করেছেন কিন্তু আমাদের মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে শূন্যের ও নিচে থেকে অর্থাৎ মাইনাস থেকে সবকিছু শুরু করতে হচ্ছে। আমরা সকলে যেকোন সরকারি কাজের দীর্ঘপ্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানি।যেমন,একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আবেদন জমা দিলে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই হয়ে ফাইল আকারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যায়,তারপর একনেকে পাস হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় হয়ে ফিরে আসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে,এর মাঝেও আছে ছোট ছোট তবে অনেক দীর্ঘসূত্রিতা,এসবের পর সেই কাজ সেই জেলায় আসে,টেন্ডার হয় তারপর বাস্তবায়িত হয়। নড়াইল এমনি একটা জেলা যেখানে এসব কাজের ন্যূনতম প্রাথমিক ধাপও সম্পন্ন করা নেই। ফলে সমস্যা খুজে খুজে বের করে তারপর আবেদন করে সবকিছু একেবারে গোড়া থেকেই শুরু করতে হচ্ছে আমাদের মাশরাফী মোর্ত্তজাকে।এসকল কাজ যদি গোড়া থেকে এভাবে শুরু করা না লাগতো,তাহলে এতোদিন হয়তো আমরা অনেককিছুর সুফল পেতে শুরু। কারণ,মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা তখন পূর্বে শুরু হওয়া কাজটি দ্রুত শেষ করে আনতে পারতেন আর আমরাও দৃশ্যমান সবকিছু হাতে হাতেই পেতাম।কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের নড়াইল জেলার,দুর্ভাগ্য আমাদের। যাই হোক,এবার আসি অন্য কথায়,দেশের অনেক বড় বড় জেলায় এখনো কোন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠেনি,অনেক হেডিওয়েট জেলা এখনো ডিপিপি’র অন্তর্ভুক্ত হয়নি।তবে মাত্র ১১ মাসেই সরকারের কাছে এই দুটি মেগা প্রজেক্ট পাস করিয়ে নজির স্থাপন করলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। যার সুফল আজীবন নড়াইলবাসী ভোগ করবেন।জননেত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার নড়াইলবাসী আজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। আর জননেত্রী শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, নড়াইলবাসীর হীরার টুকরো মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার জন্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে গোলাপি ইতিহাসে নড়াইলের এমপি মাশরাফি জেলাবাসী জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।