কে.এইচ.নজরুল ইসলাম,নরসিংদীঃনরসিংদী জেলায় এক সময়কার অবহেলার ডাক নাম ছিল জংলী ফল লটকন।তেমন নামও ছিলনা এই ফলটির।এখন গুণগতমান সম্পন্ন ভিটামিন জাতীয় সুস্বাদু ফল। প্রথমে টক হলেও লটকন পাকার পর মিষ্টি হয়ে যায় বিধায়, এ ফল মিষ্টি ফল নামে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে এ ফলের নাম “ভূগী।রসে ভরা লটকন নামের ফলটি ধীরে ধীরে মানুষের কাছে যেমন প্রিয় ফল হয়ে উঠছে তেমনি দেশে বিদেশে এ ফলের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।জেলার বেশ কয়েকজন চাষী সাংবাদিকদের জানায়, অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক হওয়ায় লটকেনর আবাদ করছে তারা। এছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় কয়েকগুন লাভ বেশি হওয়ায় লটকন চাষে ঝুঁকে পড়ছে কৃষকরা।পরিচর্যাও করতে হয় অনেক কম। বিঘা প্রতি লটকন চাষে খরচ হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় লাখ টাকার মতো। ইতোমধ্যে এসব এলাকার মানুষের কাছে লটকন এখন অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ঔষধী গুণ সম্পন্ন সু-স্বাদু লটকন ডায়াবেটিস্, প্রেসার নিয়ন্ত্রণসহ রুচি বর্ধক ফল হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এর চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর লটকন আবাদ করে স্বাবলম্বী নরসিংদী জেলার হাজার কৃষক। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এ বছর নরসিংদীতে ১ হাজার ৩শত ৪২ হেক্টর জমিতে লটকনের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬শত ৬৭ হেক্টর বেশি এই অঞ্চলের লটকন দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী হচ্ছে দেশের বাইরে। প্রতি মণ লটকন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এ বছর প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিক টন লটকন উৎপাদন হওয়ার সম্ভানা রয়েছে, যার মূল্য কৃষকরা পাবে প্রায় দেড়শত কোটি টাকা। তাছাড়া প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন লটকন দেশের বাইরে রপ্তানী হবে বলে আসা করছেন কৃষি বিভাগ।নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার লতাফত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক লাভজনক হওয়ায় লটকন চাষে আগ্রহী উঠছে চাষীরা। এবছর জেলায় লটকনের চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩শত ৪২ হেক্টর জমিতে। তাছাড়া নরসিংদী, শিবপুর,বেলাব মনোহরদী,পলাশ ও রায়পুরাতে ব্যাপক ভাবে লটকনের আবাদ হয়েছে। যার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের একটি মজবুত অর্থনৈতিক ভীত গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।