ঢাকাWednesday , 6 February 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দূর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীতে অবাদে চলছে বালুর উঠানোর নামে পাথর উত্তোলন।

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার, রাজিব চৌধুরী । দূর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ প্রতিরোধ করে অবাদে চলছে বালুর উঠানোর নামে পাথর উত্তোলন। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে বালুর সাথে সাথে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারী ইজারা থাকলেও মানা হচ্ছেনা কোন নিয়মনীতি। এভাবেই নদীগুলোকে হত্যা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীরা একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় অফিস ও প্রশাসনের অসৎ লোকজনদের সহায়তায় ইজারা ছাড়াই নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে চালাচ্ছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।
যে কারনে হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরবর্তী দূর্গাপুর পৌরশহর রক্ষা বাঁধ। দূর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বুকে বিস্তীর্ণ বালুচর রয়েছে। সোমেশ্বরীর ভবানীপুর – দূর্গাপুর তেরীবাজার ঘাট, শিবগঞ্জ – গাওকান্দিয়া, বিরিশিরি – দাখিনাইল ঘাট পর্যন্ত রয়েছে বেশ কয়েকটি বালুমহাল।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম টাকায় মহালগুলো ইজারা নিয়ে প্রায় সারা বছর ড্রেজার বসিয়ে নিয়মবহির্ভুত ভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নদীর তলদেশ থেকে বালুর সঙ্গে নুড়ি পাথর উত্তোলনের কালে নদীর তলদেশের মাটি সরে যাচ্ছে ।
নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে জোয়ারের পানিতে দুই তীর উপচে নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। দূর্গাপুর পৌরসভার সাধুপাড়া, জিয়ানগর, শ্মশানখলা, মুজিবনগর, গাওকান্দিয়া, আত্রাখালি, শিবগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়ছে।
বাঁধের পাশের মাটি সরে যাওয়ায় অনেক জায়গায় ব্লক সড়ে গেছে। একশ্রেণীর অসাধু পাথর ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বিধি উপেক্ষা করে নদীতে নৌকা ও ট্রলারে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, সোমেশ্বরী নদীর বালু চরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় পাঁচ শতাধিক ড্রেজারে পাথর ও বালু উত্তোলন চলছে। উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাবুল মিয়া, আলীম উদ্দিন, জাকির হোসেন বলেন, নদী থেকে দিনের পর দিন ড্রেজার দিয়ে পাথর ও বালু ওঠানোর কারণে আমাদের এলাকার অনেক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর প্রমান শিবগঞ্জ বাজার থেকে বিজয়পুর পর্যন্ত, শিবগঞ্জ, ডাকুমাড়া, ইসলামপুর, কুল্লাগড়া, রানীখং সহ প্রায় ৫’ শ বাড়ীঘড় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় পরিবেশবিদ সংস্থার কর্মকর্তা সোমনাথ লাহেরী সংবাদ কে বলেন, নদীতে নিয়মনীতি ছাড়া পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে ভবিষ্যত মানচিত্র থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে দূর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন নদীগুলো।
এরই মধ্যে যার বিরল প্রভাব পড়ছে কৃষিজমি গুলোতে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিজমির ফসল উৎপাদন। এলাকাতে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে ভূমিকম্পের, আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী, এক সময় দূর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ কলমাকান্দা উপজেলার বেশকিছু এলাকা বিলীন হয়ে যেতে পারে নদী গর্ভে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তোফায়েল আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু লোক ড্রেজার বসিয়ে পাথর ও বালু উত্তোলন করছে। বালুর ইজারা থাকলেও পাথর উত্তোলনের কোন ইজারা নেই। আমি মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রন করলেও পরবর্তিতে গোপনভাবে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। বিষয়টি উদ্ধোর্তন কতৃপক্ষকে অভহিত করা হয়েছে। অচিরেই এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।