রাবি প্রতিনিধি:সিন্ডিকেট সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না করা হলে এপ্রিলে ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভোজনালয় শ্রমিক ইউনিয়ন। রবিবার বিকেলে ইউনিয়নের সভাপতি হকসাদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা জানান।
ভোজনালয় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হকসাদ আলী বলেন, সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত কমিটির সুপারিশ করা এটি আমাদের ন্যায্য দাবি। আমাদের দাবি আদায় না পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে অনশন করব এমন কি আবাসিক ছাত্রদের সাথে নিয়ে ডাইনিং বন্ধ করে দিব। ভোজনালয়ের শ্রমিকদের স্থায়ী করা হলে খাবারের মান ভালো হবে আমরা আশা করি। আগামী এপ্রিলের মধ্যে দাবীসমূহ বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ভোজন শ্রমিক ইউনিয়ন।
ভোজনালয় শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, প্রত্যেকটি হলে ৬ জন করে শ্রমিক ও ১ জন করে কাঠ মাস্টার বা ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের জন্য ১০% কোটার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরি মো. জাকারিয়া বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের ডাইনিং কর্মচারিদের স্থায়ী চাকরির আবেদন অযুক্তিক। অন্য বিশ^বিদ্যালয়ে ডাইনিং কর্মচারিরা যেভাবে সুযোগ-সুবিধা পাবে তাদেরও সেভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তাদের হয়তো বেতন বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
খাবারের জন্য কোন ভর্তুকি দেওয়া হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এখন যদি খাবারেরও ভর্তুকি দিতে হয় তাহলে কেমন হয়।
এর আগে ভোজানালয় শ্রমিক ইউনিয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের জুলাই মাসের ৯ তারিখে এবং পরে এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে ২০১০ সালের মার্চ মাসের ১৬ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৪৩০তম সিন্ডিকেট সভার ১৩ নং সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্ত অদ্যবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় কর্তৃপক্ষ দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না করায় এই সভায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
আরো হয়, এই সভা গত ১৬ তারিখের ৪৩০তম সিন্ডিকেট সভার ১৩ নম্বর সিদ্ধান্তের ১ থেকে ৪ নম্বর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, ডাইনিং কার্ড মাস্টার বা ডাইনিং ম্যানেজার স্থায়ীভাবে নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ভোজনালয় শ্রমিকদের জন্য ১০% কোটা সংরক্ষণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারিতে তাদের দাবি জানিয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রসাশন বরাবর স্মারকলিপি দেয়। এসময় একমাসের সময় বেধে দেয় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন।