ঢাকাFriday , 24 May 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক,নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা আগামী কাল খুলছে দুটি উড়াল সড়ক ও দুটি সেতু

Link Copied!

মো: আফসার খাঁন বিপুল, কালিয়াকৈর প্রতিনিধি-

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রার জন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেনের দুটি উড়াল সড়ক, দুটি সেতু, চারটি ওভারপাস কাল থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাল (শনিবার) এসব উড়াল সড়ক ও সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ফলে এবার ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরবে ঘরমুখো মানুষগুলো।
তবে এ মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চাঁদাবাজি, যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, চালকদের এলোমেলো গাড়ি চালানো, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে অটোরিকশা, সিএনজি মহাসড়কে চলাচল করায় নির্বিঘেœ ঈদযাত্রা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশ জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেশের উত্তরবঙ্গের ১১৮টি রোডের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদে যানবাহনের চাপ আরো বৃদ্ধি পায়। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের একমাত্র সহজ এ মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়। এক সময় এটি ছিল যানজটের মহাসড়ক। যানজটে আটকে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহনে বসে থাকতে হতো। ভাঙ্গাচুরা সড়কে এলোমেলো গাড়ি চলাচল ও ধুলোয় ধুসর হয়ে উঠতো মহাড়সকটি। এসব কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তেন অনেক যাত্রী। আবার সময় মতো পৌছতে না পেরে অনেকেই নানা সমস্যার সম্মুখিন হতেন। বিশেষ করে দুটি ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এছাড়া প্রহেলা বৈশাখ, পুজাসহ বিভিন্ন উৎসব ছুটিতেও দুর্ভোগ কম ছিল না। এ মহাসড়কের গাজীপুরের কড্ডা, কোনাবাড়ি এবং কালিয়াকৈরের চন্ত্রা ত্রিমোড় ছিল যানজটের অভয়াশ্রম। এখানকার হাইওয়ে, জেলা ও থানা পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন এসব এলাকার যানজট নিরসনে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু তারা যানজট নিরসনে ছিল বরাবরই ব্যর্থ। ফলে দুটি ঈদে অন্য জেলা-থানা পুলিশ এসব এলাকায় যানজট নিরসনে কাজ করেছে। তাদের পাশাপাশি স্কাউট শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনে কাজ করে। তবুও লেগেই থাকতো সেই চিরচেনা সেই যানজট। ফলে এ পথে যাতায়াতের কথা শুনলেই শরীরে গাম ঝরা শুরু হতো। ফলে এ মহাসড়কটি চারলেনে উন্নতি করণ কাজটি হাতে নেয় বর্তমান সরকার। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এডিবি’র অর্থায়নে সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রজেক্টের আওতায় গত ২০১৬ সালে জানুয়ারী এ মহাসড়কটির চারলেনের কাজ শুরু হয়। ৫৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস মোড় থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে ৯টি উড়াল সড়ক, ২টি রেলওয়ে ওভারপাস ব্রিজ, ২৬টি সেতু নির্মাণ, ৭৪টি কালভার্ট সম্প্রসারণ, ৭টি আন্ডারপাস ও ১৩টি পথচারী সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান এলাকার এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওড়া এলাকার দুটি রেলওভার ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়েছে আগেই। এবার ঈদে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার জন্য গাজীপুরের কোনাবাড়ি ১৬৫০ মিটার দীর্ঘ ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে ৩০০ মিটার দীর্ঘ দুটি উড়াল সড়ক খুলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গাজীপুরের কড্ডা ও বাইমাল এলাকায় দুটি সেতুসহ চারটি ওভারপাস খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাল (শনিবার) এসব উড়াল সড়ক ও সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী একই মহাসড়কের কড্ডা ও বাইমাল এলাকায় দুটি সেতু এবং চারটি ওভারপাসও উদ্বোধন করবেন বলেও জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এটি খুলে দেওয়ার ফলে এবার ঈদে এ মহাসড়ক দিয়ে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরবে ঘরমুখো মানুষ। তবে এ মহাসড়কে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে একাধিক স্থানে পুলিশের চাঁদাবাজি, যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, চালকদের এলোমেলো গাড়ি চালানো, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে অটোরিকশা, সিএনজি মহাসড়কে চলাচল করা, অতিরিক্ত ভাড়াসহ বিভিন্ন কারণে নির্বিঘেœ ঈদযাত্রা নিয়ে কিছুটা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা। তাদের দাবি, এসব সমস্যা রোধ করে মহাসড়কটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করার।
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি। এছাড়া অটোরিকশা, সিএনজি মহাসড়কে চলাচল একেবারেই নিষিদ্ধ। তারপরও হয়তো দুই-একটি এসব যান চলাচল করছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে এবার ঈদযাত্রায় নিরাপদ ও নির্বিঘœ ঘরমুখো মানুষ চলাচল করবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রজেক্টের এক নম্বর প্যাকেজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানান, সাসেক-১ এর কাজ প্রায় শেষ, বর্তমানে সাসেক-২ এর কাজ চলছে। এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে করার জন্য দুটি ফ্লাইওভার, দুটি সেতু ও চারটি ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে। যা আগামীকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এর ফলে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। সুতরাং ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় আর কষ্ট হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।