কুলেন্দু শেখর দাস,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রামের সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে পিআইসি ও টিআর কর্মসূচীতে ৪ জন বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি ও নামসর্বস্ব কাজ দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়ের।
ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামের মৃত প্রতাপ দাসের ছেলে বিমান দাস গত ২৮ মার্চ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বরাবরে এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিরাই শাল্লা আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক চলতি বছর কাবিখা’র মাধ্যমে কামালপুর গ্রামের তেমুখী রাস্তা হতে বৈকণ্ঠ বৈষ্ণবের বাড়ির বাশঁঝাড় পর্যন্ত আড়াই শত মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সত্যবান বৈষ্ণবকে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও ঐ সাবেক ইউপি সদস্যকে কাবিখা’র মাধ্যমে পিয়ারী মোহন প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৫ শত মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য আরো চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয। কিন্তু তিনি দুটি প্রকল্পে নাম মাত্র মাঠি ভরাটের কাজ করে অধিকাংশ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এই রাস্তাগুলো কামালপুর ও আশপাশের গ্রামের কৃষকরা হাওর থেকে বৈশাখ মাসে ধান বাড়িতে নিয়ে আসার কাজে ব্যবহৃত হবে। ৩নং টিআর প্রকল্পের আওতায় একই ইউনিয়নের বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রমিলা সূত্রধরের মাধ্যমে শিবতলা হতে পুচকাতলের বাধঁ পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তিনি মাত্র দশহাজার টাকার কাজ করিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়াও ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য পতেনুর মিয়া গংদেরকে টিআর এর মাধ্যমে আয়ূব আলীর বাড়ি হতে পেরুয়া গাং বাধঁ,কানা গজাইরা ও তিনবান্দের রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় ৭ লাখ ৫০হাজার টাকা বরাদ্দদেয়া হয়। কিন্তু এই দূর্নীতিবাজ ইউপি সদস্যরা পতেনুর মিয়া,ইউপি সদস্য তাপস রায় ও শাহাব উদ্দিন মিলে মোট পঞ্চাশ হাজার টাকার মাটির কাজ করে বাকি ৭ লাখ টাকাই আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে চরনারচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পতেনুর মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সহযোগি তাপস রায় ও শাহাব উদ্দিনের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য সত্যবান বৈষ্ণবের সাথে যোগাযোগ করে দুটি রাস্তায় কতটাকার কাজ করানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনারা পিআইও’র সাথে যোগাযোগ করেন তিনি ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রমিলা সূত্রধরের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধথাকার কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।