ঢাকাSunday , 6 February 2022
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জে ১৪০ টাকা চাওয়ায় খুন হয় মুদি ব্যবসায়ি

Link Copied!

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
পাওনা ১৪০ টাকা চাওয়ার কারনে গোপালগঞ্জে খানারপাড় গ্রামের মুদি ব্যবসায়ি গাউস দাড়িয়াকে (৪৬) খুন করা হয়।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করল হত্যাকান্ডে জড়িত তিন অভিযুক্ত।
গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত হলো, সদর উপজেলার খানারপাড় গ্রামের কাইয়ুম মোল্লারর ছেলে ই¯্রফিল মোল্লা (২২), হাসান উদ্দিন দাড়িয়ার ছেলে আজিজুর দাড়িয়া ওরফে কুটি দাড়িয়া (৫০) ও কামাল মোল্লার ছেলে বজলু মোল্লা ওরফে রাজিব (২৩)।
শনিবার ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে জেলার মুকসুদপুর এলাকা থেকে প্রথমে ই¯্রাফিল মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ সদরের খানারপাড় এলাকা থেকে আজিজুর ও বজলুকে গ্রেফতার করা হয় বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায় পুলিশ।
রোববার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, হত্যাকান্ডের ৩-৪ দিন আগে গাউস দাড়িয়া আসামী ই¯্রাফিল মোল্লার কাছে দোকানের বাকী ১৪০ টাকা চান।এনিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়।
এছাড়া দোকানে বাকির টাকা চাওয়া, নতুন করে বাকি না দেওয়া ও লোকজনের মধ্যে বাকির টাকা চেয়ে লজ্জ¦া দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় গাউস দাড়িয়ার সাথে ৩ অভিযুক্তের সম্পর্কের টানাপোড়েন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার দিন প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সামনে তার দোকানের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন গাউস দাড়িয়া।পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে অভিযুক্তরা সিগারেট কেনার কথা বলে রাতে তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে নিয়ে ছুরি দিয়ে ৮/৯টি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়।
পরের দিন সকালে অভিযুক্ত ই¯্রাফিল মোল্লা আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতার অপর দুই অভিযুক্ত যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে সেজন্য তারা লাশ দাফনে সার্বক্ষনিক সহয়তা করে বলে প্রাথমিক তদন্ত পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ খায়রুল আলম, সহকারি পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জ সদরের খানারপাড় এলাকায় মুদি ব্যবসায়ি গাউস দাড়িয়াকে অজ্ঞাতনামা অপরাধীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়।
পরদিন ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।