জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাতে তারাবির নামাজ চলাকালীন সময়ে দুই স্কুল ছাত্রী তাদের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মিজানকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে একই রাস্তায় মস্তোফা মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় তাদেরেকে দেখে ফিরে যায়। কিছুক্ষণ পরই আরো একটি মোটরসাইকেলে জীবন মিয়া (প্রবাস ফেরত), মনির মিয়া ও ইব্রাহিমকে নিয়ে কাজীরচর গ্রামের কলাতলী পাড়া নামক স্থানে তাদের পথরোধ করে ।মোটরসাইকেল দুটি রাস্তার পাশে রেখে দুই স্কুল ছাত্রী ও মিজানকে পার্শ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে লেবু বাগানে নিয়ে যায় । মিজানকে বেঁধে রেখে দুই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং মিজানের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। আইনের আশ্রয় না নেয়ার জন্য তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ভয়ে ছাত্রীর অভিভাবকরা বিষয়টি গোপন রাখেন। কিন্তু মিজানের মোবাইল ফোনটি ধর্ষকরা ফেরত দিতে অস্বীকার করলে মিজান বিভিন্ন লোকের কাছে মোবাইলের বিষয়টি জানাতে থাকে। এক পর্যায়ে মিজানের মোবাইল ফেরতের বিষয় থেকে ধর্ষনের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি জাকির রব্বানীর নেতৃত্বে পুলিশ শনিবার গভীর রাতে মসূয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মস্তোফাকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার সঙ্গীদের নিয়ে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে
এই সম্পর্কিত খবর
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।