ঢাকাSunday , 10 March 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কলারোয়ায় কামারালীতে নৌকার ৩ কর্মীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম!

Link Copied!

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় কামারালী বাজারে নৌকার পোষ্টার টাঙ্গাতে গিলে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী যুগিখালী গ্রামের মৃত জালাল মোড়লের ছেলে এরশাদ আলী মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নৌকার ৩ কর্মীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়ে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি শনিবার (৯ই মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের কামরালী বাজারে ঘটে। এতে নৌকার ৩ কর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন যুগিখালী গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আক্তারুজ্জামান (২৪) ও তার সহদর ভাই
শরিফুল ইসলাম (২১) এবং তার চাচাতো ভাই মইদুল ইসলামের ছেলে আল মাসুদ (২০)। খবর পেয়ে রাতেই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থ পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের বরাত দিয়ে জানা যায়, শনিবার রাত ১০ টার দিকে তিনিসহ আহতরা উপজেলা নির্বাচনে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের নৌকার পোস্টার টাঙ্গানো সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর আনারস প্রতিকের সমর্থক হত্যা প্রচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী এরশাদ আলী মেম্বারের নেতৃত্বে শাহাজান, মফিজুল গাজী, আব্দুল ওহাব জনি, হিরা মাস্টার, কামরুল ও ওহিদুজ্জামান পিন্টুসহ অঙ্গত কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা আহতদের মাথায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। আহতদের মধ্য দুজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ার তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। তারপর হামলাকারীদের মদদদাতা বিদ্রোহী প্রার্থী লাল্টুর নেতৃত্বে রাতেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে নিয়ে আরো কিছু সন্ত্রাসীরা কয়েকটি মটর সাইকেল বহর নিয়ে কলারোয়া থেকে তার বামনখালী বাজারে এসে তারসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের উপস্থিতিতে কঠোর ভুমিকায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরে প্রস্তুুতি চলছিল বলে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান জানান। হামলার ঘটনার খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থালে আসলে রক্তাক্ত হওয়ার আগেই পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। কলারোয়া থেকে রাতে যারা মটর সাইকেল বহর নিয়ে এসে পরিস্থিতি উতাপ্ত করার চেষ্টা করলে তা ব্যার্থ হয়ে যায়। তবে থানায় কেহ অভিযোগ দায়ের করেনি করলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এদিকে একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, হত্যা প্রচেষ্টা মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে মিছিল- জননভার কারণে এলাকায় একের পর এক অপ্রতিকর ঘটনা ঘটিয়ে চলে যা আইন-শৃঙ্খলা অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারা এলাকায় বিভিন্ন লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন। তারই জলন্ত উদাহরণ কামারালী নৌকার কমর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা। তাই অচীরে ওজাহারভুক্ত আসামী আটক করে শাস্তির দাবী করেন। তা না হলে বড় ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।