কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের হাতে এক ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কমলগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুজা মেমোরিয়াল কলেজে, সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সানজিদা রিয়া নামে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের এ অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতনের শিকার ওই নারী শিক্ষার্থীর বাবা কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও কেওলা কান্দি গ্রামের কুতুব আলী,এ অভিযোগ করেন। উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আরো একাধিক শিক্ষার্থী নির্যাতনের গুরুত্বর অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে কোন দিনই তদন্ত করা হয়নি এর আগে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আসলে এলাকাজুড়ে নির্যাতিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত রবিবর (৩১মার্চ) প্রতিদিনের মত সাজেদা রিয়া গিয়েছিলেন নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুজা মেমোরিয়াল কলেজে। মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এই সাজেদা রিয়া, সহপাঠীদের সাথে কলেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি ও বজ্রপাতের শব্দ সেই সময় দ্রুত ক্লাস রুমের ভেতর ঢুকতে চাইলে ঝড়ো বাতাসের কারণে দরজা বন্ধ হলে কলেজ ছাত্রী সাজেদা রিয়া দরজা জুড়ে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকেন। জুড়ে দরজা ধাক্কা দেয়ার বিষয়টি উক্ত কলেজের শিক্ষক মাসুদুর রহমানের নজরে আসলে তিনি কলেজ ছাত্রী সাজেদা রিয়া কে এ বিষয়ে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে কলেজের অধ্যক্ষ ম.বাবু মুর্শেদ কে বিষয়টি অবহিত করলে, অধ্যক্ষ ম. বাবু মুর্শেদ ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্লাসে এসে সহপাঠীদের সামনে ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন, কলেজ ছাত্রী কান্না কন্ঠে বলেন ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের শব্দের ভয়ে বারান্দা থেকে দ্রুত ক্লাস রুমে ঢুকতে চাইলে জোরে ধাক্কা লাগে দরজায়, তারপরও অধ্যক্ষ সহপাঠীদের সামনে ছাত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে তাকেন। লজ্জায় কলেজ ছাত্রী সাজেদা রিয়া কান্না করলে, এক পর্যায় শিক্ষক মাসুদুর রহমান কলেজ ছাত্রী সাজেদা রিয়াকে হাতে ধরে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে অধ্যক্ষের পায়ে ফেলেন। তখন কলেজ ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কলেজের সহপাঠীদের সহযোগিতায় সাজেদা রিয়াকে তার বাড়িতে পাটানো হয়, কলেজ ছাত্রী জ্ঞান ফিরলে কলেজের ঘটনাটি তার পিতা কে অবহিত করে, পিতা মেয়েকে সান্তনা দেন। ঘটনার দিন রাত এক ঘটিকার দিকে মেয়েটির শরীরে খিচুনি শুরু হয়, হলে স্হানীয় পল্লী চিকিৎসক কে দেখালে অবস্হার আরো অবনতি হলে, দ্রুত তাকে মৌলভীবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল ভর্তির পরের দিন কলেজ ছাত্রীর পিতা সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদকে মুঠো ফোনে মেয়ের শারিরিক অবস্হা সম্পর্কে অবহিত করলে অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদ উত্তরে বলেন এসব অামার জানার বিষয় নয়, অাপনার মেয়ে অাপনি যা করার করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায় আহত কলেজ ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে আজ সন্ধ্যায়।এ বিষয়ে সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ বাবু মুর্শেদের সাথে ফোনে আলাপ করলে তিনি বিষটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানার জন্য সুজা মেমোরিয়াল কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি এম মোসাদ্দেক আহমেদ মানিকেরর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার রিং দিলেও উনি কল রিসিভ করেননি। বিশ্বস্ত একটি সূত্রে আরো জানা যায় সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের নামে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের গুঞ্জন রয়েছে।তিনি সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের একজন সদস্যও যার ফলে এই ক্ষমতা শক্তি ব্যবহার করে তিনি এসব করে থাকেন
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।