ঢাকাFriday , 19 October 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর ॥ ২২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ

Link Copied!

হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার(১৮ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এমপি রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামি ২২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামি এমপি রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আনা হয়। ১১টা ৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী ফারুক হাসান ভূইঞা, সোলায়মান ও আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য হাজির করে। এ তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা দুপুর ১টায় সমাপ্ত হয়।

এ সময় আসামি পক্ষ মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিনের বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে অংশ নেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া, আরফান আলী মোল্লাসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধীতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। শুনানী শেষে বিচারক আগামি ২২ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন। এরআগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদির সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যাকান্ডে এমপি রানা ও তার তিন ভাইয়ের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।