আতিকুর হাসান,আদমদীঘি(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সদরের ফয়জিয়া হামিচ্ছুন্না দারুল উলূম ক্বওমী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ৩ শিশু ছাত্র কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে এক শিক্ষক। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক রুমে। এ ঘটনার পরদিন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এদিকে নির্মম এই নির্যাতনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল জোড় তৎপরতা চালাচ্ছে।জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার ইন্দইল গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মজিদ এর শিশু ছেলে সাদমান হোসেন (৮) সদরের ফয়জিয়া হামিচ্ছুন্না দারুল উলূম ক্বওমী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র মাদ্রাসার আবাসিক রুমে থেকে পড়ালেখা করে। গত সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রচন্ড ঝড়ের কারণে পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়লে মাদ্রাসার ছাত্ররা তাদের থাকার আবাসিক রুম থেকে বাহিরে বের হয়ে গল্প গুজব ও জোড়ে কথা বলতে থাকে। ছাত্রদের জোড়ে এই কথা বলাকে কেন্দ্র করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সাদমান হোসেন হাতে লাঠি নিয়ে বাহিরে এসে এলোপাথারী ভাবে ছাত্রদের মারপিট করতে থাকে। এতে বেশ জখম প্রাপ্ত হয় মাদ্রাসার ছাত্র ইন্দইল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সাদমান হোসেন, একই উপজেলার করজবাড়ী গ্রামের দিহান হোসেন (৭) ও পার্শ্ববর্তী রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর খলসাকুড়ি গ্রামের বায়েজিদ হোসেন (৮)। সাদমান হোসেনের মা শেফালী বেগম বলেন যেহেতু আমার ছেলে ওই মাদ্রাসার পড়াশুনা করেন তাইতো ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি। তবে আমার ছেলে অসুস্থ্য বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি।এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইব্রাহীম আলীর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেনি। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মুনিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।