হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি \
বাংলা চলচ্চিত্রের নায়ক হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে যিনি পরিচিত ছিলেন, তার নাম এস এম আসলাম তালুকদার। এ নামে নয় তার পরিচিতি মান্না নামেই। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় জন্ম নিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের গর্ব মান্না। অকাল প্রয়াত বাংলাদেশের এই নায়ক অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবির নায়ক মান্না।
তাকে নিয়ে প্রযোজক-পরিচালকরা কোটি কোটি টাকা লগ্নি করতো। সকলের আস্থার নাম ছিলেন মান্না। তার নামই ছবি চলতো সিনেমা হলে, দর্শকরা লম্বা লাইন ধরে টিকিট কেটে তার সিনেমা দেখতো।
১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকাই ছবির এ মহানায়কের চলে যাবার ১১তম বছর। তার এই প্রয়াণ দিবসে নায়ক মান্নাকে স্মরণ করছেন আত্মীয়পরিজন ও সহকর্মীরা।
এ উপলক্ষে রোববার বাদ মাগরিব উত্তরায় মান্নার বাসভবন ‘কৃতাঞ্জলী’তে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে বাদ আসর এফডিসিতে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মরহুম মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না বলেন, এবার তেমন কোনও আয়োজন নেই। তবে পারিবারিক উদ্যোগে আমাদের বাসায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে ও বাদ মাগরিব মিলাদ ও দোয়ার মাহফিল হবে। স্মরণসভায় চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্মৃতিচারণ করবেন।
মান্না অভিনীত উলেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- সিপাহী, যন্ত্রণা, অমর, পাগলী, ত্রাস, জনতার বাশা, লাল বাদশা, আম্মাজান, আব্বাজানা, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদা, মা-বাবার স্বপ্ন, পিতা মাতার আমানত, লুটতরাজ, মরণ কামড়, শত্রু শত্রু খেলা ইত্যাদি।
উলেখ্য, ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন দুই যুগের দাপটিয় এ অভিনেতা। টাঙ্গাইল জেলায় অবস্থিত তার নিজ গ্রাম কালিহাতীর এলেঙ্গায় মান্নাকে সমাহিত করা হয়।