ঢাকাSunday , 25 February 2024
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আইনকে তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি নষ্ট করে নদীর গতিপথ পাল্টাচ্ছে প্রভাবশালীরা

Link Copied!

মো: আলী হাসান, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রহমতপুর গ্রাম এলাকায় ফসলি জমির মাটি কেটে হারাবতি নদীর গতিপথ পাল্টানোর চেষ্টা করছে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা।
নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে ফসলী জমির নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নদীর পাড়ের ওপর থাকা প্রায় ৬৫ শতাংশ আবাদি জমি নষ্ট হবে। ইতিমধ্যে ৩০শতক জমির মিষ্টি কদু,গবাদী পশুকে খাওনোর ঘাস নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওইসব ভোগদখল জমির মালিকদের।
 বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা গেছে,  রহমতপুর গ্রামের একটি কবর স্থানের পাশ দিয়ে হারাবতি নদী বয়ে গেছে।  ভেকু মেশিন লাগিয়ে কবর স্থানের পাশের হারাবতি নদীর গতি পথে মাটি ফেলা হয়েছে। ভেকু মেশিন দিয়ে  নদী পাড়ে ওপর আবাদি জমি কেটে নদী পথ করার কাজ চলছিলো।
 ভুক্তভোগী রহমতপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, মুকুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন এবং হুমায়ুন বলেন, হারাবতী নদীর পাড়ের ওপরের প্রায় দুই বিঘা জমি তাঁরা চাষাববাদ করছেন। প্রায় ৭০ বছর আগে থেকে তাঁদের বাপ-দাদারাও এই জমিগুলো চাষাবাদ করেছিলেন। গত বুধবার হঠাৎ করেই নদীর গতিপথ পাল্টাতে ভেকু মেশিন দিয়ে তাঁদের ভোগদখলকৃত আবাদি জমি খনন কাজ শুরু করা হয়। এতে ভুক্তভোগীদের লক্ষাধিক টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
তারা আরও বলেন, যারা এ কাজ করছেন তাঁরা গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি।  আমরা ভয়ে তাঁদের কাজে বাধা দেইনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে নদীর গতিপথ পাল্টাতে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনো কথায় শোনেনি। এসিল্যান্ড এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন।
এ বিষয়ে খননকরী বলেছেন, তাঁরা গ্রামের কবরস্থান ভাঙন রোধে নদীর পথ ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। নদী খননের মাটি দিয়ে কবরস্থান সংস্কার করবেন।
কুসুম্বা  ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরিদুল হোসেন সরকার বলেন,  তাঁরা হারাবতী নদীর পাশে  তিন একর  আয়তনের রহমতপুর গ্রামবাসীর  কবরস্থান রয়েছে। কবরস্থানটি ভেঙে হারাবতি নদী গর্ভে যাচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে নদী খননের কাজ দেখে তাঁরা নদীর গতিপথ বন্ধ করতে বারণ করেছেন সেই কারণে আমরা এখন নদীর গতিপথ পাল্টানোর কাজ বন্ধ রেখেছি।
পরিবেশবাদী সংগঠন “সবুজ আন্দোলনের” চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, দেশের কোন স্থানেই কেউই নদীর ক্ষতি হয় কিংবা প্রবাহিত নদী বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। আর নদীর গতিপথ তো কোনভাবেই পরিবর্তন করার সুযোগ নেই।  যারা নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কিংবা নদীকে বাধাগ্রস্ত করছে তাদেরকে দ্রæত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের এই নেতা।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন,  রহমতপুরে হারাবতি নদীর গতিপথ পাল্টানো হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। যারা নদীগতি পথ পাল্টাছেন তাঁরা আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেননি। তাঁরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতিও  নেননি।
পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, নদীর গতিপথ পাল্টানো খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কাজটি বন্ধ করেছি। তিনি বলেন এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।