ঢাকাWednesday , 10 March 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জ কুষ্ণপুর শ্মশানে মহাকালীর পূজা অনুষ্ঠিত

Link Copied!

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
হিন্দু ধর্মালম্ভীদের শেষ ঠিকানা শ্মশান। জীবনের সব মায়া ত্যাগ করে এখানেই সমাহিত হতে হয়। প্রায় ৬টি ইউনিয়নের হিন্দুদের শেষ ঠিকানা একটি মাত্র শ্বশান কৃষ্ণপুর সার্বজনীন মহা-শ্মশান। ৮৭ বছর আগে রায়বাহাদুর শরৎ চন্দ্র বল এই মহা শ্মশান প্রতিষ্ঠিত করেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থিত এই মহা-শ্মশান। প্রতি বছর ফগ্লুন মাসের শেষ মঙ্গলবারে এই শ্মশানে দেবী মহাকালী’র পুজা অনুষ্ঠিত হয়। দুরদুরান্ত থেকে প্রায় ৪ হাজারের বেশি হিন্দু ধর্মালম্ভী মানুষের সমাগম ঘটে এই শ্মশানের মহাকালী’র মন্দিরে। পুজা উপলক্ষে পাশের মাঠে মেলাও বসে।

শ্মশানে আশা এক ভক্ত সুনিল বিশ্বাস বলেন, ১০১৮ সালে আমার মেয়ে ও জামাই বিদেশে যায়। তখন এই শ্মশানে দেবী মা মহাকালীর কাছে মানত করি তারা ভালভাবে পৌছালে এখানের মন্দির উন্নয়নে অনুদান রাখবো। এয়ারপোটে বিমান উদ্দায়ন পরেই ওই এয়ারপোর্টে বোমা ব্লাস্ট হয়। তাই এ বছর আমার মেয়ে এই মন্দির উন্নয়ন কাজের জন্য ২০ হাজার টাকা মন্দির ফান্ডে দিয়েছে। সেই টাকা আজ পুজার দিনে আমি দিতে এসেছি।

শ্মশানে মহাকালীর মন্দিরে মানদ দিতে আশা অনুজ ঘোষ বলেন, আমি রোগে ভুকতে ছিলাম তখন আমার মা এই শ্মশানে দেবীমা মহা-কালীর কাছে সোনার টিপ মানদ করে। এই বছর পুজায় আমি মাকে নিয়ে সেই মানদের সোনার টিপ দিতে এসেছি।
শ্মশানের সভাপতি সুজন কুমার বল বলেন, ৬টি ইউনিয়নের হিন্দু ধর্মলম্ভীদের সমাধি হয় এই মহা শ্মশানে। প্রতি বছর ফাগ্লুন মাসের শেষ মঙ্গলবার এই শ্বশানে দেবীমা মহা-কালীর পুজা করা হয়। দুরদুরান্ত থেকে প্রায় ৪ হাজার লোকের সমাগম হয় এই পুজায়। বিভিন্ন মানুষ এখানে মানদ করে মনের আশা পূর্ন হওয়য় তারা মানদ দিতে আসে। আমার অনেকে মনের আশা পূর্ন করার জন্য বিভিন্ন মানদ করে যায়। দুরদুরান্ত থেকে এই পুজায় আশা ভক্তদের জন্য খাবারে ব্যাবস্থা করা হয়।
বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়াম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, আমারা বাল্যকাল থেকে এই শ্মশানে মহা-কালীর পুজায় আসি। আমাদের ৬টি ইউনিয়ের হিন্দু ধর্মলম্ভীদের জন্য একটি মাত্র শ্মশান। চেয়ারম্যান হওয়ার পরে সব সময় এই শ্মশানের উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। বিভিন্ প্রকল্পের টাকায় শ্মশানে মাটি ভরাটসহ বিভিন্ কাজ করেছি। এ বছর জেলা পরিষদ থেকে শ্মশানে মাহা-কালীর মন্দির সংস্কারের জন্য ৩লক্ষ টাকা ও পুকুরে একটি ঘাটলা পাশ করা হয়েছে। খুব তারাতারি এই মন্দির ও ঘাটলার কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর পূজা উপলক্ষে এখানের ধর্মীয় গানের আসর হয়। এবছরও পুজার পরেরদিন ধর্মীয় গান ও বাউল গান অনুষ্ঠিত হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।