মাত্র সাত দিনেই দেশের প্রকৌশলীরা তৈরি করেছেন সেমি অটো ভেন্টিলেটর। মিনিস্টার হাইটেক পার্ক বলছে, মূমূর্ষ রোগীর চিকিৎসায় অত্যাবশকীয় এই যন্ত্রটি সপ্তাহে ১০০ পিস উৎপাদন করার সক্ষমতা আছে তাদের।
দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সমান্তরালে প্রকোট হচ্ছে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্র ভেন্টিলেটরের সংকট। করোনায় মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রনে রাখতে চিকিৎসকরা বরাবরই জোর দিচ্ছেন ভেন্টিলেটর আমদানি ও উৎপাদনে। সেখানেই এবার সুসংবাদ দিলো দেশীয় ইলেকট্রনিক্স পন্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মিনিস্টার গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে চুড়ান্ত অনুমোদন পেলে প্রতি সপ্তাহে নুন্যতম ১০০ পিস ভেন্টিলেটর তৈরি সম্ভব। যার দাম থাকবে ১ লাখ টাকার নিচে।
মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিক্সের লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান বলেন, ভেন্টিলেটরটির নামকরণ করেছি সেফ লাইফ মিনিস্টার ২০২০। আমরা ৭ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে আমরা এটি বাজারে সরবরাহ করতে পারবো।
প্রাথমিকভাবে উৎপাদিত ভেন্টিলেটরের ১০ শতাংশ ক্রয় করে বিভিন্ন হাসপাতালে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এফবিসিসিআই। এই উদ্যোগের প্রশংসা করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।
এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ বলেন, আমরা চাচ্ছি যে এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরপরই যাতে আমরা প্রথম উৎপাদনে ১০০ পিস করে বাংলাদেশ সরকার কে আমরা সহযোগিতা করবো।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মাইওয়ান ইতিমধ্যে তাদের নিজেদের একটা ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে। সেটিও আমরা ক্লিনিক্যাল টেষ্টের জন্য দিচ্ছি এবং মেডট্রনিকের যে ডিজাইন সেটা অনুসরণ করেও আমাদের বেশ অগ্রগতি হয়েছে।
মেডট্রনিকের নক্সশায় এ মাসে নিজেদের তৈরি ভেন্টিলেটর জমা দেবে দেশী আরও একটি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।