দেশজুড়ে যখন একদিকে করোনার সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন, মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন অন্যদিকে সরকারের আদেশ ও করোনার ভয়াবহতা তোয়াক্কা না করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শত শত মানুষ মেতে উঠেছে সংঘর্ষে। গত ২ মাসে ২৫ মারামারি; নিহত ২, আহত শতাধিক। হোম কোয়ারেন্টাইন ভেঙ্গে চলছে সংঘর্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু অসচেতন মানুষের এমন আচরনে আশ্চর্য পুলিশ, হতাশ জেলার সচেতন নাগরিকরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের এই অসচেতনতা ও মারামারি প্রায় ২ মাস ধরে চলছে বলে জানিয়েছেন জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রতিদিন ই বিভিন্ন অযুহাতে তারা লিপ্ত হচ্ছে সংঘর্ষে। গত বুধবার একজন লুডু খেলায় চুরি করেছে। তাই টোটা বল্লম নিয়ে মুখোমুখি শত শত মানুষ, আহত ২০। শুক্রবার বাহাদুরপুরের সংঘর্ষে মারা যায় ১ জন। রবিবার মাটিকাটা শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি। শেষে তুমুল সংঘর্ষে মারা যায় আরও ১ জন।
সেখানকার সহকারী পুলিশ সুপার বলেন সরকারের আদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ইউনিয়নের মেম্বার ও সাবেক মেম্বারদের সাহায্যের প্রয়োজন অথচ কিছু কিছু সংঘর্ষে সেসব ফ্রন্ট লাইনে তাদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে জানান।
দেশ জুড়ে নাকি করোনা সর্তকতা চলছে। কারন ছাড়া কারো বাহিরে বের হওয়া মানা। অথচ এসব সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করে কয়েক হাজার গ্রামবাসী। তবে তারা নিজেদের সচেতন নাগরিক দাবি করে করোনা সর্তকতায় মাস্ক ব্যবহার করেছে, মারামারির সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করেছে। আর সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য লম্বা লাঠি ও টোটা ব্যবহার করেছে। আবার মারামারি শেষে হ্যান্ড স্যানিটাইজ/সাবান ব্যবহার করেছে।
সেখানকার পুলিশ প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছেন এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে। এমন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে করোনার প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ কারবে বলে মনে করছেন সেখানকার সচেতন নাগরিক ও পুলিশ প্রশাসন।